ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ৪ দাবি জবি ছাত্র অধিকারে পরিষদের
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার দফা দাবি জানিয়েছেন শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের বরাবর পাঠানো চিঠিতে দাবিগুলো জানান তারা।
এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. নুহীন ফিল আল আমিন ও দপ্তর সম্পাদক কাজী আহাদ।
তাদের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও উত্তেজনা দূর করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে; যেকোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে কঠোরতা জারি; শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ নীতি গ্রহণ করতে হবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জবি শাখার কমিটিকে কেন্দ্র করে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সৃষ্ট নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ন্যায্য অধিকার। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক প্রভাব ও সংঘাতের কারণে আমাদের এ মৌলিক অধিকার ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব রাইজিংবিডিকে বলেন, “ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শিক্ষার অন্তরায়। কিন্তু আমরা তা বাস্তবায়ন হতে দেব না। প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা রাজনৈতিক কর্মীবান্ধব না হয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব হন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধান ফটক বাদে সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি এ বিষয়ে সচেতন সবসময়। আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিচ্ছি এবং আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী