ঢাকা     রোববার   ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২১ ১৪৩১

৫ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট নিশ্চিতের দাবি

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ২ জানুয়ারি ২০২৫  
৫ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট নিশ্চিতের দাবি

অবিলম্বে আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ৪৩তম বিসিএস এর দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ক্যাডার অফিসারদের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বঞ্চিতদের একাংশ। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জানুয়ারি সব ক্যাডারদের সঙ্গে যোগদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির মূল ফটকের সামনে ‘৪৩তম বিসিএস এর গেজেট বঞ্চিত ক্যাডার অফিসারবৃন্দ’ এর ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিত ক্যাডারদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪৩তম বিসিএস এর প্রথম গেজেটে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মাসুমা আক্তার।

তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘ ৪ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অপেক্ষার শেষে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ সততা ও সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক ২ হাজার ১৬৩ জন ২৬টি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। পরবর্তীতে সুপারিশ প্রাপ্তদের তদন্ত সাপেক্ষে সুদীর্ঘ ১০ মাস পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর আমাদের অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে।”

তিনি আরও বলেন, “ওই গেজেটে যোগদানের তারিখ ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর আমাদের যোগদান পিছিয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আমরা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যোগদানের নির্দেশনা মোতাবেক উদ্দীপনা ও আনন্দের সঙ্গে যোগদানের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং আমাদের বহু সহকর্মী পূর্ববর্তী চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন।”

এ ক্যাডার বলেন, “সুপারিশপ্রাপ্তির পরবর্তী সময়ে আমাদের অনেকেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একাধিক চাকরির সুযোগ লাভ করলেও যোগদান করেননি। এছাড়া গত ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ৪৪তম বিসিএস এর মৌখিত পরীক্ষায়ও অনেকেই অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমরা প্রণয় গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হলেও গত ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বার প্রকাশিত গেজেটে ১০০ জনসহ মোট ২২২ জন প্রার্থী গেজেট থেকে বঞ্চিত হই। এতে অধিকাংশ প্রার্থী চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাওয়ায় তারা এবং তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, চরম হতাশাগ্রস্ত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।”

এ ক্যাডার আরো বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পথ গড়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য, তা পূরণে মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিক সিভিল সার্ভিসের বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত ও গেজেট প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও পুনঃপ্রকাশিত গেজেটে অজ্ঞাত কারণে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের পরিপন্থী। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনার।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়