দাবি আদায়ে চবির প্রশাসনিক ভবন বন্ধের হুঁশিয়ারি
চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পোষ্য কোটা বাতিল ও ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ফি কমানোসহ ৯ দফা দাবি না মানলে প্রশাসনিক ভবন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে ৯ দফা দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা বাতিল না হলে, প্রশাসনিক ভবন খুলবে না রে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে; পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে; শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব ও মেধার ভিত্তিতে বন্ধ হলগুলোতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে এবং কটেজের শিক্ষার্থীদেরও হলের মেসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনগুলোকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে; অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে; অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান তারেক বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে প্রশাসনের গায়েবানা জানাযা পড়েছি, এখন যেন খাটিয়া মিছিল করতে না হয়। ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা কেন হবে? প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, এখান থেকে ইউজিসিকে ৪০% অংশ দিতে হয়। কবে থেকে ইউজিসি ভিক্ষার থালি নিয়ে দাঁড়িয়েছে? আমাদের দাবিগুলো অনতিবিলম্বে না মানা হলে প্রশাসনিক ভবন বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, “পোষ্যকোটা কোন কোটা নয়; এটি স্পষ্ট সিন্ডিকেট। কোটা দেওয়া হয় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে। যারা লাখ টাকা বেতন পায়, এসি গাড়িতে চড়ে, দামি ফ্লাটে থাকে; তারা কীভাবে পিছিয়ে পড়া হয়।”
তিনি আরো বলেন, “কেউ কেউ বলছেন, আমরা নাকি ২০-২৫ জন আন্দোলন করছি। মনে রাখবেন, জুলাই আন্দোলনও ২০-২৫ জন দিয়ে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এটি যখন ২০-২৫ লাখে যায়, তখন দাবি ঠিকই আদায় হয়েছে। যৌক্তিক দাবিতে কম সংখ্যা হলেও সেটি মেনে নিতে হবে।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী