ঢাকা     বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৫ ১৪৩১

ডা: জাফরুল্লাহ আদ্যোপান্ত দেশপ্রেমিক ছিলেন: সিরাজুল ইসলাম

গবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২১, ৭ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ২০:০৫, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
ডা: জাফরুল্লাহ আদ্যোপান্ত দেশপ্রেমিক ছিলেন: সিরাজুল ইসলাম

অধ্যাপক মনসুর মুসা সম্পাদিত ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্মদিনে স্মরণিকা-২০২৪’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা

গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, “ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের মাঝে জন্মেছিলেন, এটা আমাদের সৌভাগ্য। তিনি আদ্যোপান্ত দেশপ্রেমিক ছিলেন। তার মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা আপনজনের নয়, ক্ষতি হয়েছে বেশকিছু সম্ভাবনার। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার মানুষ ছিলেন। তার কাজ ও আদর্শগুলোকে বোঝা জরুরি।”

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. জাফরুল্লাহর চৌধুরীর ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে রচিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সমাজ বিপ্লবী ছিলেন। তিনি শুধু রাষ্ট্রের স্বাধীনতা নয়, মানুষের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা করে গেছেন। মোট কথা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করেছেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবিত থাকলে বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারতেন।”

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্য ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. আবুল কাসেম চৌধুরী বলেন, “জাফর ভাইয়ের সঙ্গে অনেক বছর কাটিয়েছি, অনেককিছু শিখেছি। তিনি একবার যা যৌক্তিক মনে করতেন, তা থেকে তাকে কেউ সরাতে পারতো না। তিনি বলতেন, ‘গরীবদের যদি সচেতন না করতে পারি, তাহলে আমাদের মতো মুষ্ঠিমেয় মানুষকে দিয়ে পরিবর্তন আসবে না।’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিকল্প চিন্তার মানুষ ছিলেন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, গরীবের উন্নয়ন না হলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, আমি তা অনুধাবন করতে পারি। আমি চেষ্টা করবো তার উদ্দেশ্যকে তার দেখানো পথেই পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করার।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি শিরিন হক, অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবু মুহাম্মদ মুকাম্মেল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু হারেস, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সন্তান বারীশ চৌধুরী ও বৃষ্টি চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিরা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা সম্পাদিত ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্মদিনে স্মরণিকা-২০২৪’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়