ঢাকা     বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৫ ১৪৩১

জবিতে ফেলানী হত্যার বিচার দাবি

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৬, ৭ জানুয়ারি ২০২৫  
জবিতে ফেলানী হত্যার বিচার দাবি

ফেলানী হত্যার বিচার ও ভারতের সঙ্গে সকল অসম চুক্তি বাতিলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য চত্বরে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরাম’ এর ব্যানারে তারা এ বিক্ষোভ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তে ফেলানীসহ সব হত্যার বিচার, ভারতের সঙ্গে হওয়া সকল অসম চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়।

সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, “বাংলাদেশের উপর ভারতের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ ফেলানী হত্যা। ভারত সবসময়ই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালিয়েছে বাংলাদেশের উপর। কখনো বন্যার পানি দিয়ে, কখনো সীমান্তে হত্যা করে, কখনো আবার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো ধ্বংসাত্মক প্রকল্পের মাধ্যমে।”

তিনি বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশ ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়। এ চুক্তিটি করা হয় দুই দেশের মধ্যে পলাতক আসামিদের দ্রুত এবং সহজে বিনিময়ের জন্য। কিন্তু আমরা দেখছি, বিগত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ থেকে পলাতক ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। এই একটি উদাহরণ থেকেই পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় যে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া চুক্তিগুলো কতটা নতজানু।”

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোয়ার সাম্য বলেন, “সীমান্তে যে হত্যা চলে, তার অন্যতম কারণ মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্কের বদলে দমনমূলক সম্পর্ক। বাংলাদেশকে অবশ্যই এ সম্পর্কের প্যাটার্ন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো- ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তিগুলো বাতিল করা এবং বাংলাদেশের স্বার্থ বিবেচনা করে ভবিষ্যৎ চুক্তি করা ও বাংলাদেশপন্থী পররাষ্ট্র নীতি নেওয়া।”

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবের কুঠি এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করেছিল।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়