জবি শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ১১ দাবি
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার নেতৃবৃন্দ এসব দাবি জানান।
এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জবি শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জবি শাখার সভাপতি আব্দুল ওয়াহীদ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এগুলো অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। পাশাপাশি জবির কাঙ্ক্ষিত সংস্কার প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে আছে। আমরা এ পরিস্থিতি উন্নয়নের স্বার্থে ১১ দফা দাবি পেশ করেছি।”
এরপর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান আকাশ ১১ দফা দাবি পাঠ করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ টিম গঠন করতে হবে; ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সংলগ্ন অবৈধ বাস ও লেগুনা স্ট্যান্ড অপসারণ করতে হবে।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজের দুর্নীতি তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং চলমান টেন্ডার বাতিল করে সেনাবাহিনীর কাছে কার্যক্রম হস্তান্তর করতে হবে; দ্রুত প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে অথবা বৃত্তির আওতায় আনতে হবে; কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংস্কার ও সম্প্রসারণ করতে হবে; মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারণ এবং ২৪/৭ চিকিৎসা সেবা চালু করতে হবে; জকসু নির্বাচনের তারিখ, নীতিমালা ও প্রস্তুতির পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস সময় নিশ্চিত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ৩ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। প্রয়োজনে প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিও তুলব।
গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার গুলিস্তানে দুর্বৃত্তদের হামলায় জবি প্রক্টর এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক আহত হন। এছাড়া ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দ্বারা শিক্ষার্থী জিহানকে মারধর, ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির চর্চা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে যানজট, বাস ও লেগুনা স্ট্যান্ডের কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে তারা এসব দাবি করেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী