ঢাকা     শুক্রবার   ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৭ ১৪৩১

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ করতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ১০ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৯:৩৭, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ করতে হবে’

শুক্রবার রাজধানী ভাটারায় শুরা অধিবেশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদানের কথা উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। 

তিনি বলেছেন, “কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশে ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জুলাই বিপ্লবে ৭০ জনের বেশি হাহেজ, আলেম শাহাদাতবরণ করেছেন।”

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানী ভাটারায় আস-সাঈদ মিলনায়তনে শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গাজী আতাউর রহমান।

ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, “আন্দোলনে ইসলামপন্থিদের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। দেশের আলেমসমাজ গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। অতএব, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের অবদানের কথা উল্লেখ না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ শুরা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি। 

আরো বক্তব্য রাখেন—আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মুফতি অলিউল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতিহ মো. মাছউদুর রহমান, ডা. মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি বলেন, “ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত করে দেশকে বাঁচাতে হলে ভারতীয় এজেন্টদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাই, আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”

সভাপতির বক্তব্য শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, “বিপ্লবী সরকারের আমলে সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার এসে জনগণের ওপর আবার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে আর দোষ চাপাবে বিগত সরকারের ওপর। তাই, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।”

ঢাকা/এএএম/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়