সেশনজট নিরসনসহ ১০ দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
সেশনজট ও শিক্ষক সংকট নিরসনসহ ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় তারা ‘শিক্ষক নিয়ে তালবাহানা, আর না আর না’, ‘অন্য বিভাগ স্বর্গে, আমরা কেন মর্গে’, ‘অন্য বিভাগ ৪ বছরে, আমরা কেন ৭ বছরে’, ‘আজকেই চাই সমাধান, সেশনজটের অবসান’, ‘ক্লাসরুম ছাড়া ক্লাস, আর না আর না’, ‘শিক্ষকদের রোষানলে, আর না আর না’, ‘পরীক্ষা কেন ধীরগতি, কি করেন সভাপতি’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন।
তাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্দিষ্ট রুটিন প্রণয়ন করে প্রতিটি কোর্সের ন্যূনতম ক্লাস নিতে হবে; সেশনজট নিরসনে ৩ মাসের মধ্য সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে; পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া ও শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টিচার দ্বারা ক্লাস নিতে হবে; পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা; সেমিনার লাইব্রেরি বরাদ্দ দেওয়া; ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার পরে নিতে হবে এবং নম্বর প্রদান করতে হবে।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে; আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্য পুর্ণাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে; প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষা সফরে যেতে হবে; আন্দোলনের পরবর্তী প্রভাব কোন শিক্ষার্থীর উপর যেন না পড়ে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রতি বছর একটি করে সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেমিস্টার শেষে রেজাল্ট প্রকাশ করতে ৭-৮ মাস লেগে যায়। আমাদের বিভাগে বর্তমানে সাতটি ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা চলমান। কিন্তু তাদের বিপরীতে মাত্র একটি ক্লাসেরুম এবং তিনজন শিক্ষক রয়েছে। আমাদের ঠিকমতো ক্লাস-পরীক্ষা হয় না। ফলে আমরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়ে আছি।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী