চবি প্রশাসনের শুভবুদ্ধি কামনায় ‘হেদায়েত’ সভা
চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
পোষ্য কোটা বাতিল ও ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর নোটিশ বিলম্বিত ও অসহযোগিতামূলক আচরণ করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করে ‘হেদায়েত’ সভা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘চবি সংস্কার আন্দোলন’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আশ্বাস না বাস্তবায়ন, বাস্তবায়ন বাস্তবায়ন’, ‘৭ দফার রোডম্যাপ দিতে হবে, দিয়ে দাও’, ‘ছাত্রবান্ধব প্রশাসন, নোটিশ দিতে কালক্ষেপণ’, ‘ফি-এর নামে জুলুমবাজি, চলবে না চলবে না’, ‘চাকসুর রোডম্যাপ দিতে হবে, দিয়ে দাও’, ‘শহিদের ক্যাম্পাসে, বৈষম্য চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সভায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ হোসেন বলেন, “আমাদের মোট ৯ দফা দাবি ছিল। সেখান থেকে দুই দফা অর্থাৎ পোষ্য কোটা বাতিল ও ভর্তি ফি কমিয়ে নোটিশ জারি। আর বাকি ৭ দফার রোডম্যাপ চাচ্ছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের আলোচনার নামে শুধু আশ্বাস দিলেও কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না। তাই আমরা প্রশাসনের হেদায়েত কামনা করছি।”
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি, এটা আমাদের জন্য লজ্জা। আমাদের থাকার কথা ক্লাসরুমে বা পড়ার টেবিলে। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও প্রশাসন আমাদের কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি।”
তিনি বলেন, “তারা কি আমাদের বিনয়কে দুর্বলতা মনে করছে? প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, আমরা নাকি গুটিকয়েক শিক্ষার্থী অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছি। আমরা আজও ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার জন্য দাঁড়িয়েছি। প্রশাসন আমাদেরকে ওয়াদা দিয়েও তা রাখছে না। ওয়াদা ভঙ্গকারীদের স্থান জাহান্নাম। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।”
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হেদায়েত কামনা করছি। প্রশাসন চাইলে অনেক আগে এ সমস্যা সমাধান করতে পারত। বারবার আলোচনার নামে প্রহসন হচ্ছে। শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ।” এ সময় তিনি ২ দফার নোটিশ জারি এবং বাকি ৭ দফার দ্রুত রোপম্যাপ দেওয়ার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের বাকি দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে; শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব ও মেধার ভিত্তিতে বন্ধ হলগুলোতে আসন বরাদ্দ দিতে হবে: অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে; কটেজের শিক্ষার্থীদের হলের মেসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলা সংগঠনগুলোকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে; অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে; অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী