দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হবে কৃষক দিবস
বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
![দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হবে কৃষক দিবস দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হবে কৃষক দিবস](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2025January/BAU-Farmer-news-2501281158.jpg)
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কৃষকদের মধ্যে নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ‘কৃষক দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন যৌথভাবে এ দিবসের আয়োজন করবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাউএকের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন।
এতে উপস্থিত ছিলেন বাউএকের অতিরিক্ত পরিচালক আফরোজা বেগম, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সাইদুর রহমান, ড. মো. এনামুল হক সরকার প্রমুখ।
জানা গেছে, ৩০০ জন কৃষক-কৃষাণীর অংশগ্রহণে ‘কৃষকবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণই হোক আমাদের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে আগামী ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হবে কৃষক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে কৃষক র্যালি, আলোচনা সভা, কৃষকদের জন্য বাকৃবির খামারগুলো পরিদর্শন ও কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণ করা হবে। এছাড়াও প্রতিযোগিতামূলক সবজি বাগান চাষে সেরা সবজি বাগান চাষী ছয়জন কৃষক-কৃষাণীকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হবে।
সকালে কৃষক র্যালির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন শুরু হবে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন বলেন, “কৃষকদের উদ্ভাবিত কৃষকবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা ও তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে আমরা কৃষক দিবস পালনের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিষ্ঠার শুরুতে বাউএক কৃষকদের আর্থ-সামাজিক নানা উন্নয়নে কাজ করলেও কৃষক দিবস নামক আলাদা করে কোন দিবস পালন করেনি। তাছাড়া জাতীয়ভাবে কৃষক দিবস আছে বলে আমার জানা নেই।”
তিনি বলেন, “২০২৩ সালে বাকৃবির প্রশাসন প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিবসটি পালনে আদেশনামা জারি করে। কিন্তু বাস্তবে এখন পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। তাই বর্তমান বাকৃবি প্রশাসনের বিশেষ সহযোগিতায় বাউএক দিবসটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বাউএক কৃষকদের কথা চিন্তা করে এবং তাদের নিয়ে কাজ করতে চায়। শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের প্রতিযোগিতা, গবাদি পশু-পাখির টিকা প্রদান, মাঠ ফসলের প্রদর্শনী, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পারিবারিক খাদ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম, মাছ চাষ, মুরগি পালন কর্মসূচি, উন্নত ঘাস চাষ পদ্ধতিসহ কৃষকদের মাঝে নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করি আমরা। নতুন নতুন প্রযুক্তি, ফসলের জাত কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে বেশি পরিমাণে ফসল উৎপাদন ও তাদের লাভবান করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছি আমরা।”
১৯৬১ সালে কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ- এ চার মূলনীতির উপর ভিত্তি করে বাকৃবি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সম্প্রসারণ কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য ১৯৭৬ সালে ‘এগ্রি ভার্সিটি এক্সটেনশন’ প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ কাজ বাকৃবিতে পুরোদমে শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে প্রজেক্টের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) করা হয়।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী