ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ফাল্গুন ৭ ১৪৩১

প্রথমবারের মতো বাকৃবিতে কৃষক দিবস পলিত

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫  
প্রথমবারের মতো বাকৃবিতে কৃষক দিবস পলিত

বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষকদের মেরুদণ্ডের উপর ভর করেই বয়ে চলেছে। তবে তাদের নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, পান না যথাযোগ্য সম্মানও। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কৃষকদের প্রকৃত সম্মান জানাতে ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্র (বাউএক) এবং বাকৃবি প্রশাসন।

‘কৃষকবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণ হউক আমাদের অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে ‘কৃষক দিবস-২০২৫’। কৃষকদের মধ্যে নতুন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টার দিকে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কৃষক র‌্যালির বের করা হয়। ৩০০ জন কৃষক-কৃষাণীর অংশগ্রহণে র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণের পর শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে কৃষকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবি সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (বাউএক) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল হক, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। এছাড়াও বাউরেসের পরিচালক ড. হাম্মাদুর রহমান, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “বাকৃবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কৃষকের পাশে থেকে গ্রামীণ অর্থনীতি বিনির্মাণে কাজ করছে। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ ছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ কখনো খাদ্য সংকটে পড়েনি। এর জন্য বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্বায়নের ফলে বাংলাদেশের কৃষিও প্রতিনিয়ত আধুনিক হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “২০ বছর আগেও যা কল্পনা করা যেত না, এখন সেগুলো কৃষকের মাঠে উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতেই আমরা কৃষক দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আরও কৃষিবান্ধব হতে চাই। কৃষকদের জন্য কৃষিকে নতুন করে সাজাতে সব স্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

সভা শেষে প্রতিযোগিতামূলক সবজি বাগান চাষে সেরা ছয়জন কৃষক-কৃষাণীকে সনদ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

সম্মাননা প্রাপ্ত কৃষকরা হলেন, দুই বিঘা জমিতে ব্রোকলি চাষ করা ময়মনসিংহ সদরের সুহিলার ইউনিয়নের আব্দুল খালেক, পৌনে দুই একর জমিতে কলা চাষ করা বয়ড়ার আবদুর রাজ্জাক, শৈলমারীর আদর্শ সবজি চাষী আব্দুল করিম, সমন্বিত পোলট্র্রি খামারী মুক্তিযোদ্ধা বাজারের মোছা. নুরুন্নাহার, বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষী ভাবখালীর হাসনা খানম এবং আদর্শ পোল্ট্রি খামারি মির্জাপুরের আব্দুল হক।

এদিন অন্যন্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- কৃষকদের কাছে কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ, কৃষকদের জন্য বাকৃবির খামার পরিদর্শন এবং বীজ বিতরণ কর্মসূচি।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়