ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১

জবির ভর্তি পরীক্ষা: সন্তানকে উৎসাহ দিতে এসেছেন অভিভাবকরাও

জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  
জবির ভর্তি পরীক্ষা: সন্তানকে উৎসাহ দিতে এসেছেন অভিভাবকরাও

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা চলাকালে তাদের অভিভাবকদের ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন শিফটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষার চলাকালে ক্যাম্পাসে বাইরে ভিক্টোরিয়া পার্ক ও ফটকগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন অভিভাবকরা। কেউ পত্রিকা পড়ছেন, কেউ গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন, কেউবা আবার সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থনায়। অনেকের বাইর থেকে বোঝা না গেলেও সবাই আছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। কারও মা-বাবা, কারও ভাই এসেছেন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে। তাদের আশা একটা আশা, সন্তানের পরীক্ষাটা যেন ভালো হয়।

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের (পরীক্ষার্থী) মানসিক সাপোর্ট দিতেই পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত আসা এবং অপেক্ষা করা। তারা যাতে নিশ্চিন্তে পরীক্ষাটা দিতে পারে এবং পরীক্ষাটা যেন ভালো হয়। সবকিছু যেন ঠিকঠাক থাকে। 

এক ভর্তিচ্ছুর অভিভাবক উত্তরা থেকে এসেছেন। মেয়েকে পরীক্ষার হলে দিয়ে দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের প্রস্তুতি ভালো। তবুও একটু টেনশন কাজ করছে। মেয়েটা যেন ভয় না পায়, ঠিকভাবে যেন পরীক্ষা শেষ করতে পারে, সেজন্য দোয়া করছি।”

অস্থিরতায় সময় পার করতে দেখা যায় এক পরীক্ষার্থীর বাবা। তিনি বলেন, “ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু আমার খুবই অস্থির লাগছে। যতক্ষণ বের না হবে, ততক্ষণ টেনশনে থাকব। দোয়া করি, তার যেন পরীক্ষা ভালো হয়।”

নারিন্দা থেকে আসা তারেক রহমান নামের আরেক অভিভাবক বলেন, “শেষ মূহুর্তের ভালো প্রস্তুতি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে তার ভর্তি পরীক্ষায় এসেছি। আমার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেশ ও জাতির মান মর্যাদা রক্ষা করবে বলে বিশ্বাস করি।”

ভিক্টোরিয়া পার্কে নরসিংদী থেকে আসা এক পরীক্ষার্থীর মা বলেন, “যতক্ষণ পরীক্ষা শেষ না হবে, ততক্ষণ বাসায় স্থির থাকতে পারব না, এজন্যই তার সঙ্গে এসেছি। শিক্ষা জীবনের যে কয়েকটি বড় ধাপ রয়েছে, তার একটিতে আজ ছেলে অংশগ্রহণ করেছে। একটু টেনশন তো হচ্ছেই। বসে বসে তার জন্য দোয়া পড়ছি।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়