গাজায় ভয়াবহ হামলার প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ
চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় দখলদার ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রশিবিরের দাওয়াতি সংগঠন ‘মিনার’।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘যুদ্ধবিরতিতে হামলা কেন, ইসরাইল জবাব দাও’, ‘বিশ্ববাসী এক হও, গাজা দখল রুখে দাও’, ‘বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘নিপাত যাক নিপাত যাক, ইহুদিবাদ নিপাত যাক’, ‘ইহুদিদের কালো হাত, ভেঙে দাও পুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, “ইসরায়েল আবারো আমাদের অসহায় ফিলিস্তিনের ওপর নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। কোথায় আজ মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো জাতিসংঘ? জাতিসংঘ মূলত করা হয়েছে, পশ্চিমা আর ইহুদিদের দালালি করার জন্য।’
শাখা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, “আমরা এখনো নিজেদের মুসলিম জাতিসত্তায় রূপান্তরিত করতে পারিনি। মুসলিমরা আপনারা একেকজন সালাহউদ্দিন আইয়ুবী, তারেক বিন যিয়াদ হয়ে উঠুন। বিশ্ব মোড়লরা আজ কোথায়? পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। মুসলিম নিধনই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।”
শাখা শিবিরের অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়েছে গতকাল (মঙ্গলবার)। তাদের আক্রমণ থেকে বাদ যায়নি মায়ের কোলের শিশুরাও। তাদের মদদ দিচ্ছে মানবতার বুলি আওড়ানো জাতিসংঘ ও আমেরিকা। বিশ্বের এমন কোনো যুদ্ধ আইন নেই, যে আইনে গণহত্যা করা বৈধ।”
শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী বলেন, “যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেই গতকাল (মঙ্গলবার) আমাদের পূণ্যভূমি গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী জায়োনিস্টরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি, মানবতার ধোঁয়া উড়ানো বিশ্ব মোড়লরা নিশ্চুপ। মসজিদুল আকসা এবং ফিলিস্তিনকে রক্ষা করার জন্য ওআইসি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওআইসি আজ নির্জীব। এই নির্জীব ওআইসি আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন একজন সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর মত সেনাপতি, যিনি আমাদের সঙ্গে নিয়ে ফিলিস্তিনকে আবারো স্বাধীন করবেন।”
বিশ্ব মুসলিম নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের এই নিষ্ক্রিয়তা, অলসতা একদিন আপনাদের ঘাড়েও এসে বসবে। এখন হয়তো আপনারা বিনোদন করছেন, ক্ষমতায় টিকে আছেন। কিন্তু একদিন আপনাদের এ সময় আর থাকবে না। ফিলিস্তিনিদের ওপর পড়া প্রতিটি বোমা একদিন আপনাদের ওপরও পড়বে। তখন বুঝবেন এসব বোমার তেজস্ক্রিয়তা কত।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী