ঢাকা     শনিবার   ২২ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ৯ ১৪৩১

দেশে ঈদুল ফিতরের তারিখ জানালেন ঢাবি অধ্যাপক

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২০ মার্চ ২০২৫  
দেশে ঈদুল ফিতরের তারিখ জানালেন ঢাবি অধ্যাপক

অধ্যাপক যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক

পবিত্র রমজান শেষে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর, যা নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর।

ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী ৩০ মার্চ রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সেখান থেকেই আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে তার আগে আবহাওয়াবিদরা জানান ঈদের সম্ভাব্য তারিখ।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানালেন ঈদুল ফিতরের চূড়ান্ত তারিখ। এর আগেও তার ভবিষ্যতবাণী সত্য হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।

ওই শিক্ষক হলেন, অধ্যাপক যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধায় তিনি বলেন, “আগামী ৩১ মার্চ বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে, ইনশাআল্লাহ। অনেকে যাত্রার তারিখ নির্ধারণের জন্য জানতে চান বিধায় উল্লেখ করলাম।”

এদিকে, চাঁদের স্থানাঙ্ক পরিমাপ করে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।

গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণী প্রকাশ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবার রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদুল ফিতর হবে ৩১ মার্চ (সোমবার)।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেকজন আবাহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৩০ মার্চ চাঁদের বয়স থাকবে দেড় দিনেরও বেশি। চাঁদ দিগন্তের সঙ্গে ১৪ ডিগ্রি কোণে উচ্চতায় থাকবে। আকাশে অবস্থানও করবে বেশি সময়ের জন্য। তাই খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সে অনুযায়ী ৩০ মার্চ চাঁদ দেখার সম্ভাবনা বেশি এবং ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে।

অবশ্য ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহম্মদ এহসানুল হক বলেন, “বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে ইসলামি বিধান মোতাবেক চাঁদ দেখা নিশ্চিত হওয়া গেলে সেটিই সব মুসলিমের জন্য প্রযোজ্য হবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আমরা তো বেশিরভাগই হানাফি মযহাবে বিশ্বাসী। এর প্রধান আবু হানিফার বক্তব্য ছিল এটাই যে, পৃথিবীর কোনো এক জায়গায় চাঁদ দেখা গেছে- এ সংবাদ পেলেই রোজা করতে হবে এবং ঈদ হবে। এ জিনিসটা ওনার সময়ে পালন অসম্ভব ছিল। কারণ তখন আরেক শহরের খবর আসত না। এখন তো বিশ্বের এক প্রান্তের খবর মুহূর্তের মধ্যে পাই। তাই আবু হানিফার কথা পালন করা কর্তব্য।”

তিনি আরো বলেন, “রোজা বা ঈদের জন্য চাঁদ তো দেখা যেতেই হবে। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও দেখা গেলে তার আলোকেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা রোজা ও ঈদ করতে পারবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়