ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদ ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবি ছাত্রপক্ষের
ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলের দখলদার বাহিনীর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও জুলাই অভ্যূত্থানে গণহত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ।
শনিবার (২২ শে মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় আমার বাংলাদেশ পার্টির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক আকিব হাসান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা মিতু, সহকারী আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ জিহাদ, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, “গত ৭৫ বছর ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনে গণহত্যা, নব্য-বর্ণবাদী আগ্রাসন এবং জাতিগত নিধন চালিয়ে আসছে। বিশেষত, গাজায় এ হিংস্রতা গত কয়েক মাসে আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় শুরু হওয়া গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধবিরতির নামে যে প্রহসন চলছে, তা কার্যকর নয়। আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, ফিলিস্তিন সংকটের একমাত্র সমাধান হলো একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র। ছাত্রপক্ষ ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘ এবং ওয়াইসির কাছে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছে।”
যুগ্ম-আহ্বায়ক আকিব হাসান বলেন, “গত বছর জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের সময় আমরা ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছি। তখন বর্তমান সরকার এবং তাদের স্বৈরাচারীনীতির অধীনে ছাত্র-জনতার ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ গণহত্যায় অনেক নিরপরাধ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে। যার বিস্তারিত বিবরণ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ছাত্রপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এই দেশের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না। কেউ স্বৈরাচার হতে চাইলে ছাত্র-জনতা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”
যুগ্ম-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা মিতু বলেন, “বর্তমানে আওয়ামী লীগের শাসনে বিরোধী মতাবলম্বী এবং ভিন্নমতাবলম্বী নাগরিকদের ওপর চলমান গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিডিআর-শাপলা-জুলাই গণহত্যার বিচার দাবি করে আমরা জাতিসংঘের কাছে একটি শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এই ধরনের অমানবিক কার্যকলাপ চলছে। যেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্র পরিপন্থী।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী