ঢাকা     রোববার   ৩০ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১৭ ১৪৩১

নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ২৬ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ২০:৫০, ২৬ মার্চ ২০২৫
নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলোচনা সভা, পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রার্থনাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাইজিংবিডি ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)

সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইবৃন্দ সকাল ৬টায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হন। সেখান থেকে তারা উপাচার্যের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া, কার্জন হল ও টিএসসিতে আলোকসজ্জা করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। 

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ও সকাল ১০টায় গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এছাড়া হল প্রশাসন, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। 

এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইখতিখারুল আলম মাসউদ, প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিকেল ৩টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে রাবির শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মু. শামসুল আলম, বীরপ্রতীক, মো. ফজলুল হক, আবুল কালাম আজাদ, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ, খন্দকার মো. নুরুন্নবী প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য ও অভিজ্ঞতা ওরাল হিস্ট্রি আকারে আর্কাইভসে সংরক্ষণের প্রকল্প গ্রহণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ছাত্র-উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

দিবসের কর্মসূচিতে আরো ছিল, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নিজ নিজ কার্যালয়ে অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন ও পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতির আলোচনা সভা, বাদ আসর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা।

এদিন শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা ছিল।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহীদ মিনারে উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এছাড়া রাত সাড়ে ১০টায় ১ মিনিট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করা হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) 

দিবসটি উপলক্ষে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জাতীয় পতাকা এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।

এছাড়া সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, মহিলা ক্লাব, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

এসব কর্মসূচিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)

দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, আবাসিক হল, স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় তিনি উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করেন। 

এরপর প্রাধ্যক্ষ পরিষদ, ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষক ও অফিসার সংগঠন, বিভিন্ন আবাসিক হল প্রশাসন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ  বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্ট অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)

দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরীন সানি ও প্রভাষক গোলাম মাহমুদ পাভেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে, ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মুনাজাত এবং রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১মিনিট পর্যন্ত ক্যাম্পাসে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি পালন করা হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক।

পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এরপর উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের (ভারপ্রাপ্ত) উপস্থিতিতে ডিনবৃন্দসহ সব অনুষদ, হল, বিভাগ, সব পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ ও ফোরাম, বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রশাসন ভবন চত্বর হতে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ স্মৃতিসৌধে সমবেত হয়। সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নেতারা। এরপর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)

এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপাচার্য শহীদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান।

ক্রমান্বয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক—কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন। 

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপাচার্যের বাণী বিতরণ ও পাঠ করা হয়। এরপর টিএসসি প্রাঙ্গণে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এছাড়া বাদ জোহর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজীদ হোছাইন চৌধুরী, প্রক্টর এএফএম আরিফুর রহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রাধ্যক্ষ, ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ২৫ মার্চের শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও নিষ্প্রদীপকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)

দিবসটি উপলক্ষে সকালে প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে স্বাধীনতা শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।

শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে শুরু হয়ে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারকের সামনে এসে শেষ হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, আবাসিক হল, ইনস্টিটিউটসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

এরপর স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল, ইনস্টিটিউটসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাশরুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ফেরদৌস রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. তানজিউল ইসলাম, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের উপ-গ্রন্থাগারিক মো. আব্দুস সামাদ প্রধান প্রমুখ।

এর আগে, দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (রবি)

সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। পরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

এছাড়া সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

সরকারি তিতুমীর কলেজ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কলেজের শহীদ বরকত মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক এম. এম. আতিকুজ্জামান। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর মসজিদ প্রাঙ্গণে খতমে কোরআন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরবর্তীতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে লাল দল ও সবুজ দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ২-০ গোলে সবুজ দল বিজয়ী হয়।

আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়