ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৯ ১৪৩২

গাজায় গণহত্যা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদের ঝড় 

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ৭ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ২১:০০, ৭ এপ্রিল ২০২৫
গাজায় গণহত্যা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদের ঝড় 

ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই আয়োজিত এসব কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। রাইজিংবিডির বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে থাকছে বিস্তারিত-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে এবং গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার সমর্থনে ঢাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করা হয়।

বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকে। বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এসময় তারা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ইসরায়েলের বন্ধুরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভে ছাত্র-জনতা ইসরায়েলি পণ্য বয়কট ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে সবাইকে এক হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, গাজাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অবিলম্বে গণহত্যা ও জবরদখল বন্ধে দখলদার বর্বর ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢা‌বি) শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। একইসঙ্গে 'No Work, No School Until Genocide Stops' কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢা‌বি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষ‌রিত এক বিবৃ‌তি‌তে একথা জানা‌নো হয়। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। একইসঙ্গে সংহতি জানিয়ে ৩০টির অধিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জনসংযোগ দপ্তরের প্রকাশক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, রেজিস্ট্রার অধ্যপক ইফতেখারুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্র উপদেষ্টা  আমিরুল ইসলাম, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ফজলুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেরুজালেম ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ অধিকার রয়েছে এবং তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বৈধ ও ন্যায্য বলে জানান তারা৷ 

মানববন্ধনে বুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আব্দুল হাসিব চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অংশ নেন। 

এ সময় তারা ‘From the river to the see, Palestine will be free’, ‘East to west, no flow to zionist’, ‘Meghna to Jerusalem, Insaf insaf’, ‘Shame shame zionist, make free Palestine’, ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ইসরাইল নিপাত যাক’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, আল আকসা জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)

দুপুর ১২টায় তৌহিদী ছাত্র জনতার ব্যানারে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বাকৃবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েল ও ভারতের পতাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতি আগুনে পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শুরু হয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন ও ছাত্রী হলের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে কামাল-রণজিত (কেআর) মার্কেটে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। সেখান থেকে মিছিলটি সমাবর্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে সমাবর্তন চত্ত্বরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর পরিকল্পিত গণহত্যার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে জাবি প্রশাসন। এছাড়া এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রাদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ আহ্বান জানায়। 

এর আগে, রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এবিএম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে, সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পার্শবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “একজন মানুষ হিসেবে মানবতার প্রশ্নে  আমাদের যা করণীয়, সেটা আমাদের করতে হবে। আমি একজন সাধারণ মানুষ, ওখানে গিয়ে তেমন কিছু করতে পারব না। তবে আমি মানবাধিকার নিয়ে চিৎকার করা সেসব বিখ্যাত মানুষদেরর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, মুসলমান কিংবা ভিন্ন ধর্মের মানুষের রক্ত যদি আপনাদের হৃদয়ে স্পর্শ না করে, তাহলে আপনারা আসলে অধিকার কর্মী নন।”

তিনি বলেন, “আপনাদের এই অধিকার কর্মটি হচ্ছে, পুঁজিবাদ টিকিয়ে রাখার কৌশল। গাজায় যে গণহত্যা হয়েছে সেটিকে কোনো অর্থনীতি বা কোনো রাজনীতি সমর্থন করে না।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)

বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ঘোষিত ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আল আমিন, প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। গাজায় সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা একটি বিবৃতি প্রদান করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

এছাড়া গ্লোবাল মুভমেন্ট ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ এর অংশ হিসেবে তারা সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। এ দিনটিকে তারা ‘প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)

গ্লোবাল স্ট্রাইকের সংহতিতে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে প্রথম বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে সদরঘাটের বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। অপর মিছিলটি তাঁতিবাজার মোড় ঘুরে ক্যাম্পাসে ফেরত আসে। 

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’, ‘উহুদের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘নেতা নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে তারা ফিলিস্তিনের মুক্তি ও ইসরায়েল কর্তৃক গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বক্তব্য রাখেন।

এদিকে, জবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত শিক্ষক সমিতির এক সংহতি সমাবেশে ইসরায়েলের সব পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। একইসঙ্গে দেশি পণ্য ব্যবহার করে গাজাবাসীর জন্য আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, “মাসের পর মাস ধরে গাজায় যে বর্বর গণহত্যা চলছে, আমরা তা চুপচাপ দেখতে পারি না। দেশীয় পণ্য ব্যবহার করে গাজাবাসীর জন্য আর্থিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে। আমাদের হাত খালি, তবে দোয়ার শক্তি আছে। মহান আল্লাহ যদি আমাদের দোয়া কবুল করেন, তবে মজলুমদের মুক্তি আসবে।”

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) কর্তৃক গাজার নিরীহ নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষের ওপর অবিরাম হামলা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস এবং ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও স্কুলে পরিকল্পিতভাবে আঘাত হানা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতাবিরোধী আইন লঙ্ঘনের সামিল। নিরীহ মানুষ হত্যা, পরিবার উচ্ছেদ এবং শিশুদের এতিম করে তোলার মতো অমানবিক ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।

আরো বলা হয়েছে, এসব কর্মকাণ্ড জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যেখানে যুদ্ধাবস্থায় বেসামরিক জনগণ ও অবকাঠামোর ওপর হামলা নিষিদ্ধ। প্রতিটি প্রাণহানি, প্রতিটি শিশু এতিম হওয়া এবং প্রতিটি পরিবারের উদ্বাস্তু হওয়া- এগুলোর সংকট সমাধানে বিশ্বব্যাপী জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)

গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে হাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদ। শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করে বলে হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসনে হাজার হাজার নিরপরাধ নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষ জীবন হারাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আইনের চরম লঙ্ঘন করে দখলদার বাহিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ও আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে বোমা বর্ষণ এবং খাদ্য, পানি, ঔষধ সরবরাহ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিবাসিকে নির্মূল করার পদক্ষেপ নিয়েছে। আমারা এই মানবতা বিরোধী নিষ্ঠুরতা ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এছাড়া, গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে ফোয়ারা চত্বরে শেষ হয়।

একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের পণ্য বয়কটরেও ডাক দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে তারা বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ইসরায়েলি পণ্যের এবং বিকল্প পণ্য ব্যবহারের তালিকা টানিয়ে দিয়েছেন। 

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (রবি)

গাজায় ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীরা। এর আগে, রবিবার (৬ এপ্রিল) এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা করেন।

সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-১ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে স্থানীয় শাহজাদপুর বিসিক বাসস্ট্যান্ড হয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ প্রাঙ্গণে পৌঁছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এ সময় ইসরাইলের পতাকা পোড়ানো এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছবিতে জুতা পেটা করা হয়। 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি চলছে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্বব্যাপি এ কর্মসূচিকে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্বাবিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

যোহর নামাজের পর যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান আর বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান তারা।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরাইল প্রোডাক্ট’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফ্রম দা রিভার টু দা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)

গাজায় ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে বেরোবি প্রশাসন সংহতি সমাবেশ করেছে। এর আগে, সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে আবু সাঈদ চত্বর ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয় ভিতরে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। 

মিছিলে শিক্ষার্থীরা প্লাকার্ডে ‘স্টপ জেনোসাইড ফিলিস্তিন’, ‘রক্ত ভাসে বিশ্ব কেন নীরব’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’সহ বিভিন্ন স্লোগানের ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)

‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারো সেখানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীরাও যোগ দেন।

মিছিলে তারা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)

নির্যাতিত  ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করেছেন নোবিপ্রবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। 

সমাবেশে তারা ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সী, ফিলিস্তিন উইল বি ফ্রি ফ্রি’, ‘আমেরিকার আগ্রাসন, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্ত পাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সংহতি সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “গাজাতে ইজরায়েল ও আমেরিকা যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অতিদ্রুত হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। গাজাতে আর কোনো হত্যাযজ্ঞ নয়, গাজা ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব জায়গা। ইসরাইল বাহিনী আগে দখল করেছে। গাজাবাসীকে বাস্তচ্যুত করার যে চেষ্টা করছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)

বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা গাজায় ইসরাইলের চালানো নির্মম হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শামীম আহসান, প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

গণহত্যার প্রতিবাদে সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল  ইসলাম। অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আকতার হোসেন, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কেএম আসলাম উদ্দিন প্রমুখ।

এর আগে, সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

সরকারি তিতুমীর কলেজ

সকাল ১১টায় কলেজের প্রধান ফটকে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ‘তিতুমীরস ভয়েস ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা মূল ফটকে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবারো সেখানে ফিরে আসেন। এ সময় কলেজের শিক্ষকরা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

পরে শিক্ষার্থীরা ব্যানার হাতে নিয়ে মহাখালীর টিবিগেট হয়ে গুলশান-১ এ গিয়ে ইসরায়েলের পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্যাম্পাসে ফিরে এসে পতাকা মঞ্চে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এক পাশে ফিলিস্তিনের পতাকা এবং অন্য পাশে কালো পতাকা উত্তোলন করেন।

দিনব্যাপী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে কলেজের মূল ফটকে তালা লাগানো হয়েছে।

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি)

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মার্কিন মদদে ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ে সমর্থন জানিয়ে সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ‘The world stops for Gaza’ কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে গবি প্রশাসন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন সংলগ্ন ট্রান্সপোর্ট ইয়ার্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বাইশ মাইলে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা।

মিছিল চলাকালে তারা ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’, ‘নিপাত যাক, নিপাত যাক, জায়োনিজম নিপাত যাক’, ‘নিপাত যাক নিপাত যাক, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, জায়োনিজম মুর্দাবাদ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ)

ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলমানদের উপর ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিপীড়ন ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মহাখালী ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি গুলশান ১ নম্বর হয়ে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। 

ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে আইএসইউ শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিতে যোগদান করেন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ'র প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. একরামুল হক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিকসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপার্সন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কমকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি 

ফিলিস্তিনে চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।

শিক্ষার্থীরা হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানান এবং ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। 

সমাবেশে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ব্রি. জে. মাহবুবুল হক (অব.), ফ্যাকাল্টি অব আর্টস, সোস্যাল সাইন্স অ্যান্ড ল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মো. সাদিক ইকবাল, আর্কিটেকচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার তারিকুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, আইন বিভাগের প্রভাষক মো. রেজাউল আলিমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

ঢাকা/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়