ঢাকা     বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩২

গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে রাবিতে প্রতিবাদী কবিতা পাঠ

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ১৩ এপ্রিল ২০২৫  
গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে রাবিতে প্রতিবাদী কবিতা পাঠ

ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ও গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রতিবাদী কবিতা পাঠ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহীর কবিরা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের উদ্যোগে এ কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আকন্দ বলেন, “শব্দকলা সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে। এ পর্যন্ত আমরা যত কাজ করেছি, তা সবকিছুই বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও মানবতার জন্য। ভিডিও গেমসের মতো যেভাবে গাজা ও রাফা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, তারই প্রতিবাদে আজ আমদের কবিতা পাঠের আয়োজন করেছি।”

রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, “আমরা এখানেই কয়েকদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে গাজার মজলুম মানুষদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছিলাম। আমি মনে করি আজকের এ কর্মসূচিও তার-ই একটি ফলোআপ প্রোগ্রাম।”

তিনি বলেন, “কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন বৃটিশদের বিরুদ্ধে তার কবিতার মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন, তখন কিন্তু  মিডিয়া এত শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু তবুও তাকে কবিতা লিখে কারাবরণ করতে হয়েছিল। আমার বিশ্বাস, এ কবিতার যে প্রচণ্ড শক্তি আছে, তা ইসরায়েলী দখলদার বাহিনীর গদিকে নাড়িয়ে দেবে।”

এর আগে, কবিতা পাঠ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “কবিতা হলো হৃদয়ের ভাষা। অল্প কথাতে হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতিকে প্রকাশ করতে কবিতার চেয়ে সুন্দর আর কোনো মাধ্যম নেই। কবিতা যেমন কোমলতার কথা বলে, তেমনি যুদ্ধ, দ্রোহ, বিদ্রোহের ভাব প্রকাশ করার এক অন্যতম মাধ্যম। অবিচারের বিরুদ্ধে সুবিচারের যে যুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধের অনেকগুলো দিক আছে। মাঠে যেমন যুদ্ধ হয়, জ্ঞ্যানের রাজ্যে যুদ্ধ হয়, তেমনি এক মস্ত বড় যুদ্ধ হলো এ ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।”

তিনি আরো বলেন, “সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এ যুদ্ধকে শক্তিশালী করা বিশাল একটা সংগ্রাম। কারণ এটা মানুষকে উজ্জীবিত করে এবং প্রতিবাদী হতে শেখায়। আমি চাই, এ ধরনের সাংস্কৃতিক উদ্যোগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন হচ্ছে, তেমনিভাবে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ুক।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়