৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন
কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
স্টলে স্টলে সাজানো দেশীয় পিঠা, বাহারি ধরনের নাস্তা, মিষ্টি, পানীয়সহ নানা ধরণের খাবার। এ যে বাঙালী ঐতিহ্যের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।
মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেশীয় খেলাধুলাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ কে বরণ করে নেয় কুবি।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
শোভাযাত্রা শেষে ছেলেদের মোরগ লড়াই ও মেয়েদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করে। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন লোকগান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি এবং নাটিকা। এছাড়াও, নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে পিঠাপুলির স্টল। যেখানে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের পিঠা যেমন পাটিসাপটা, চিতই, দুধচিতই ও মালপোয়া পরিবেশন করা হচ্ছে।
নববর্ষ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হান্নান রাহিম বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আমরা এ বছর নববর্ষ উদযাপন করছি। ২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ধারণ করে র্যালি করেছি। আমাদের ক্যাম্পাসে সর্বশেষ ২০১৯ সালে নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছিল। এখন আমরা স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি। ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।”
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “আমাদের বাঙালিদের জন্য এবারের পহেলা বৈশাখ দেশ গড়ার এক নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। গত বছর ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত হয়ে, আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার- সেটি এই নতুন বছরের প্রভাতে হতে পারে এক ভিন্ন শপথের সূচনা। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে আমরা যেন সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “বাংলা নববর্ষ এ দেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। এই উৎসব ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। অল্প সময়ের মধ্যে এত সুন্দর ও প্রাণবন্ত আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। নানা রকমের স্টল এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন এই উৎসবকে আরও বর্ণিল করে তুলেছে। আমরা সকল স্টল ঘুরে দেখবো এবং নববর্ষের এই আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেব।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী