ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রুয়েটে বিক্ষোভ

রুয়েট সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২২ এপ্রিল ২০২৫  
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রুয়েটে বিক্ষোভ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি চলমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডিপ্লোমা কোটা বাতিল এবং মেধার সঠিক মূল্যায়নের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ মিছিল তালাইমারি মোড় হয়ে শেষ হয় ভদ্রা মোড়ে গিয়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা চাই’, ‘কোটার নামে বৈষম্য, চলবে না’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে রাস্তাজুড়ে প্রতিবাদ জানায়।

বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন রুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম সরকার এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ. এম. রাসেল।

অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, “এই আন্দোলন শুধুই শিক্ষার্থীদের নয়, এটি এখন প্রকৌশল পেশার মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকারের প্রশ্ন। উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য যে ৩৩ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা বাতিল করা জরুরি।”

তিনি আরো বলেন, “প্রকৌশল খাতে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় আইইবি কমিটিকে দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।” পাশাপাশি দেশের সকল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের শিক্ষার্থীদের এই ন্যায়সঙ্গত দাবির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

আন্দোলনকারীদের একজন, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুয়ান বলেন, “প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কাঠামোগত বৈষম্য মেধা ও পেশাগত মর্যাদার পরিপন্থী। এই বৈষম্য আমাদের দেশের প্রকৌশল ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার ঘাটতি তৈরি করছে।”

শিক্ষার্থীদের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন। 

দাবিগুলো হলো:

সহকারী প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) বা সমমান পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সমানভাবে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনোভাবে কোটা বা বিকল্প পদের মাধ্যমে পদোন্নতি নয়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদ সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে, যাতে ডিপ্লোমা এবং বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীরাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহারে আইনগত শর্ত নির্ধারণ করতে হবে, যেখানে শুধুমাত্র বিএসসি ডিগ্রিধারীরাই এই পদবি ব্যবহারের অধিকার পাবেন—এই বিষয়ে আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

এই আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশের প্রকৌশল ব্যবস্থায় একটি সুশৃঙ্খল ও মেধাভিত্তিক কাঠামো গঠনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।

মাহাফুজ/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়