ঘূর্ণিঝড় মোখা: ভূমিধসের আশঙ্কা
নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে উপকূলের সঙ্গে এর দূরত্ব কমছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভারি বর্ষণ ও ভূমিধস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ মে) সকাল ৬টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ১৪ তে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগাসের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা/ইভা
- ৮ মাস আগে কক্সবাজার থেকে ৪১০ কিলোমিটার দূরে মোখা
- ৮ মাস আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা: বিটিআরসিতে কন্ট্রোল রুম চালু
- ৮ মাস আগে ‘মোখা’র প্রভাবে দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
- ৮ মাস আগে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ, যাত্রীদের অফিসে যোগাযোগের অনুরোধ
- ৮ মাস আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
- ৮ মাস আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার মানুষ
- ৮ মাস আগে সারা দেশে নৌ চলাচল বন্ধ
- ৮ মাস আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা: পটুয়াখালীতে বেড়েছে নদ-নদীর পানি
- ৮ মাস আগে বরিশালে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
- ৮ মাস আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
- ৮ মাস আগে মোখায় খুলনা উপকূলে আতঙ্ক
- ৮ মাস আগে মোখা : মহেশখালির এলএনজি টার্মিনালের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
- ৮ মাস আগে উপকূলে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
- ৮ মাস আগে কক্সবাজারে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, বিমান চলাচল বন্ধ
- ৮ মাস আগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ