ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে অব্যাহতি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০১, ১৮ জুলাই ২০২৪  
শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে অব্যাহতি

শরীয়তপুর ১০ ছাত্রলীগ নেতাকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ও বুধবার (১৭ জুলাই) জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই ১০ নেতাকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ওই দশ নেতা ছাত্রলীগের নীতি আদর্শ, শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যক্রমে জড়িত আছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। 

অব্যাহতি পাওয়া দশ নেতা হলেন- শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন রাফি, সহসম্পাদক বিএম জাহাঙ্গীর আলম রনি, দপ্তর সম্পাদক মো. ফাহাদ হোসেন, কার্য নির্বাহী সদস্য এইচএম ওয়াসিম মাদবর, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অন্তর মাদবর, ভেদরগঞ্জ পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি জয় মাদবর, মহিষার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হাওলাদার ও গোসাইরহাট উপজেলার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌসিফ আহমেদ।

জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির পর থেকে তাদের কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার ছাত্রলীগ বহন করবে না। 

অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে। এর সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন রাফি ফেসবুকে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ কোটার বিপক্ষে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার। যে কমিটিতে রাখছিলেন তার পরিচয় কখনো কারো কাছে বলিও নাই। হইতাম পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক, পাহাড়দের সাথে দল করি দেখে আমাকে বাদ দিলেন। ওই দিন থেকেই তো আমার আশা-ভরসা শেষ হয়ে গেছে। তার পরে যা দিয়েছেন এগুলো ‘Rashed Uzzaman’ আপনার ইচ্ছেমত করে সাজাইছেন কমিটি।’ 

তিনি আরও লেখেন, ‘ন্যায় যেটা তাই বলছিলাম। বাংলাদেশে কোটা থাকবে না। এটাই দোস, আপনাদের মত না, আপনারা ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড দেখিয়ে অনেক কিছুই করে নিয়েছেন। আমি বলতে পারবো ছাত্রলীগ করে মানুষের ধানকেটে দিয়েছি, যতটুকু পারছি অসহায় মানুষের পাশে করোনাসহ সবসময় ছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে কোনো ধান্দা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করিনি। দুই পয়সা কারো কাছ থেকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে নেয়নি। শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ সুন্দর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। যে ছাত্রলীগ করে জীবনের ১৫টি বছর কাটাইছি। দল থেকে কখনো কোনো সুবিধা ভোগ করিনি। বরং নেতার কথা রাখতে গিয়ে শরীরের রক্ত পর্যন্ত ঝরছে। যে অন্ধ বিশ্বাস করতাম। তার মূল্য ছাত্রলীগের অভিভাবক একমাত্র শেখ হাসিনা। আজকে যারা আমাকে স্বাক্ষর দিয়েছে, তাদের আগে অব্যাহতি নিতে হয়। কারণ তাদের তো ছাত্রত্বই নেই। আল্লাহর কাছে দোয়া রইল আপনারা যেন আমৃত্যু ছাত্রলীগের নেতা থাকেন। আপনারা যে নীতিমালা ভাঙার কথা বলতাছেন তার কিছুই করিনি।’

সাইফুল/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়