স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দিদার হত্যা: আরও ১ জন গ্রেপ্তার 

গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদারের নিহতের ঘটনায় সিহাব মোল্লা (৩৫) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সিহাব মোল্লা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের সত্তার মোল্লার ছেলে।

ওসি মো. আনিচুর রহমান জানান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহতের ঘটনায় সিহাব মোল্লার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন সন্দেহে তাকে আটক করা হয়। কিন্তু ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা না হওয়ায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া এলাকার বাঁকাদ্দেছ চৌধুরীর ছেলে ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫০) ও ওই এলাকার ইঙ্গুল শেখের ছেলে আওয়ামী লীগের কর্মী সিজার শেখকে (৪২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পর দিন শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ কর্মীরা। এ সময় তাদের গাড়িবহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন-ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এক পর্যায়ে উভয়গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৩৫ জন আহত হন।