ঢাকা     শনিবার   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নরসিংদীতে দুই বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

নরসিংদী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫০, ৮ এপ্রিল ২০২৫  
নরসিংদীতে দুই বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় দুই বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ভুক্তভোগীরা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

অভিযুক্তরা হলেন- চরআড়ালিয়া এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে কাইয়ুম, শাহ মিয়ার ছেলে মুন্না, কাদির মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া, খলিল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়াসহ আটজন।

আরো পড়ুন:

স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল বিকেলে কাইয়ুম (২১) ও মুন্না (২২) নামে দুই যুবকের সঙ্গে নৌকায় ঘুরতে যায় দুই বান্ধবী।  সন্ধ্যার দিকে কৌশলে কাইয়ুম ও মুন্না নৌকা তীরে ভিড়ায় এবং দুই কিশোরীকে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কাইয়ুম ও মুন্না তাদের আরো ছয় বন্ধুকে ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে চলে যায়। কিশোরীরা বাড়ি ফিরে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। 

ভুক্তভোগী এক কিশোরীর বাবা বলেন, “আমরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছি, চেয়ারম্যান বলেছেন বিচার করে দেবেন। আমরা বিচারের অপেক্ষায় আছি। থানা পুলিশের ঝামেলায় যেতে চাই না। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছি।”

অপর ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, “রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। আমরা তাদের সঙ্গে পারব না। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছি। চেয়ারম্যান যে বিচার করবে আমি তাই মেনে নেব।” 

তিনি আরো বলেন, “আমি গরিব মানুষ, থানা পুলিশ করার মতো সমর্থ্য আমার নেই।”

চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদা জামান সরকার বলেন, “তারা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি ঘটনা শুনেছি। সব বিষয় চিন্তা করে আমি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচারে বসব।”

ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম আদালতে মীমাংসা যোগ্য কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। বিচারে বিলম্ব হলে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বিচার কীভাবে করবেন এ প্রশ্নের জবাবেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তাছাড়া কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়