ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্রভিশন ৫০ শতাংশ নামিয়ে আনার সুপারিশ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রভিশন ৫০ শতাংশ নামিয়ে আনার সুপারিশ

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব সব ব্যাংকের কু-ঋণের বিপরীতে বিদ্যমান শতভাগ প্রভিশন কমিয়ে ৫০ ভাগে আনার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি)।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুপারিশ করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের এক সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ব্যাংকের এমডিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশেষ নীতিমালার আওতায় (খেলাপি ঋণ গ্রহিতাদের এক্সিট পলিসি) ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দ/কু-মানের উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়মিত হলেও ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে নিয়মিত ঋণের প্রভিশনিং সুবিধা পাবে না।

এর কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন যে, ‘নিয়মিত ঋণের ক্ষেত্রে এক ভাগ সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণের বিধান থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর-০৫ এর নির্দেশনায় উক্ত ঋণের বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন রাখার জন্য বলা হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো প্রভিশন ঘাটতিসহ মূলধন ঘাটতির মধ্যে থাকলেও এ বিশেষ নীতিমালার আওতায় প্রভিশনিং সংক্রান্ত সুবিধা পাবে না।’

ব্যাংকের এমডিরা বলেন, ‘এ বিশেষ নীতিমালার আওতায় নিয়মিত ঋণসমূহের ক্ষেত্রে বিআরপিডি মাস্টার সার্কুলারের আলোকের এক ভাগ সাধারণ প্রভিশন রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। ’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক সূত্র জানায়, এ বিষয়ে অধিকতর আলোচনায় বিশেষ নীতিমালার আওতায় নিয়মিত ঋণসমূহের ক্ষেত্রে প্রভিশনিং বিষয়ে এক ভাগ বা শতভাগ এর মাঝামাঝি অবস্থান অর্থ্যাৎ ৫০ভাগ প্রভিশন রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

পরে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি হচ্ছে-ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত নীতিালার আওতায় নিয়মিত ঋণের বিপরীতে ১০০ ভাগ স্পেসিফিক প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়টি পরিবর্তন করে ৫০ ভাগ সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি অনুযায়ী পর্যালোচনাপূর্বক জরুরিভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিংখাতে প্রভিশন ঘাটতি ছিল আট হাজার ১২৯ কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় খাতের সোনালী, রূপালী এবং বেসিক ব্যাংকও রয়েছে। এই ব্যাংকগুলো প্রভিশন ঘাটতির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রাখতে পারছে না। ফলে গুণতে হচ্ছে জরিমানা।


ঢাকা/হাসনাত/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়