ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার সীমা নির্ধারণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়ার কয়েকটি ধাপ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোনো ব্যাংক এই সীমার বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
সোমবার (১১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারটি দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এর আগে গৃহীত ডেফেরাল (Deferral) সুবিধার অধীন নয় এমন বা ২০১৯ সালের জন্য কোনো ডেফেরাল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যেসব ব্যাংক ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ নূ্যনতম ১২.৫০ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
এছাড়া ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ থেকে ১২.৫০ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম, সে সব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৭.৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকে সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১.২৫ শতাংশ এর কম কিন্তু ন্যূনতম সংরক্ষিত মূলধন ১০ শতাংশ হবে সে সব ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে ব্যাংকগুলো যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা অবণ্টিত রেখে (কার্যত লভ্যাংশ না দিয়ে) মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখা একান্ত অপরিহার্য।
ঢাকা/এনটি/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন