ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘করোনা আরো ৬ মাস থাকলে প্রচুর বেকার হবে, না খেয়ে মারা যাবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ২৬ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘করোনা আরো ৬ মাস থাকলে প্রচুর বেকার হবে, না খেয়ে মারা যাবে’

‘করোনা পরিস্থিতি আরো ছয় মাস এমন থাকলে প্রচুর লোক বেকার হবে, না খেয়ে মারা যাবে। ফলে এ পরিস্থিতিকে আরো ছয়মাস পর্যন্ত যেতে দেওয়া যাবে না।' 

বলেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।  শুক্রবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত অনলাইন সাপ্তাহিক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।  

করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না মন্তব্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘৮৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করার দায়িত্ব এনবিআররের। ব্যবসা যদি না হয়, টাকা আসবে না। আর রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে এনবিআরের লোকবল বাড়াতে হবে, অফিসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত রিজার্ভ আছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার ব্যালেন্স শিটে হাত দেবে। বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থা ঋণ দেবে, ঋণের পরিমাণ বাড়বে কিন্তু টাকার অভাব হবে না। বাজেট কতটা দক্ষভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ।'

স্বাস্থ্যখাতে রাজনৈতিক প্রভাব বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের মতো রাজনীতি কোথাও নেই। পোস্টিং দিতে গেলে কিংবা কেনাকাটা করতে গেলে পলিটিক্যাল ইনফ্লুয়েন্স টের পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে দেশ চালাচ্ছেন। কিন্তু উনি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকতে পারবেন না। প্রত্যেকটা জায়গায় মানুষ কাজ করতে হবে। বিশেষায়িত চিকিৎসা যারা দিতে পারেন এমন অনেকেই অবসরে আছেন। তাদের খোঁজ করে সমন্বয় করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালের ভেতরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে হবে।' 

আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. সাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে যে টাকা আছে তা পর্যাপ্ত এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা কোথায় খরচ হবে, কীভাবে খরচ হবে- সেটা আমাদের ভাবতে হবে। তার জন্য গ্যাপ খুঁজতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিস প্রক্রিউরমেন্ট হচ্ছে। বেশি দামে নিম্নমানের উপকরণ আনা হচ্ছে। লোকালি টেস্ট কিট উৎপাদনে যাওয়া যেতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের। যে লোন করে আনা হয়েছে, সেই টাকা আগামী দুই প্রজন্মকে পরিশোধ করতে হবে।'

চিকিৎসকদের সঠিকভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি করোনার কারণে পরিবার পরিকল্পনা ও শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। 

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত এ অনলাইন আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন ডা. জিয়া হায়দার।

 

ঢাকা/নূর/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়