ঢাকা     সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

কুমিল্লায় বাবার মৃত্যুতে কিস্তি মওকুফসহ মেয়েকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০২, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২১:০৩, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
কুমিল্লায় বাবার মৃত্যুতে কিস্তি মওকুফসহ মেয়েকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা

ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন মৃত ক্রেতা আব্দুল মতিনের মেয়ে ফাহিমা আক্তার 

ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার একটি পরিবার। পরিবারটির বাকি কিস্তির টাকা মওকুফসহ ২৪ হাজার ৬৬৪ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বরুড়া উপজেলা ওয়ালটন প্লাজা আমড়াতলী শাখা। 

চলতি বছরের ২২ জুন বরুড়ার ওয়ালটন প্লাজা আমড়াতলী শাখা থেকে কিস্তিতে একটি ফ্রিজ কিনেন আব্দুল মতিন। গত ১০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে কিস্তির টাকা মওকুফসহ তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। না চাইতেই ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মৃত আব্দুল মতিনের পরিবার। 

সম্প্রতি ওয়ালটন প্লাজা আমড়াতলী শাখায় আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ক্রেতা আব্দুল মতিনের মেয়ে ফাহিমা আক্তারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ডিভিশন-৫ এর ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মুমিনুল হক, কুমিল্লার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো. রায়হান কবির, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান, ওয়ালটন প্লাজা আমড়াতলী শাখার ম্যানেজার মো. সানোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।   

উল্লেখ্য, কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য ক্রেতার পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।

বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়া পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় ওয়ালটন প্লাজাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফাহিমা আক্তার বলেছেন, অনেক কোম্পানিই কিস্তিতে পণ্য বিক্রি করছে। কিন্তু, ওয়ালটনের মতো কোনো কোম্পানি কিস্তি ক্রেতাকে এমন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে না। বাংলাদেশে এই অভাবনীয় কাজটি করে দেখাচ্ছে ওয়ালটন। এখানেই ওয়ালটন সবার থেকে আলাদা এবং দেশের সেরা। প্রিয়জন হারিয়ে শোকগ্রস্ত একটি পরিবার কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাচ্ছেন। ওয়ালটন প্লাজার এই উদ্যোগে সাধারণ ক্রেতারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি, রিসোর্ট, জীবনবীমা, হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা, মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তি ক্রেতারা যেন জীবদ্দশাতেই খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতে সুবিধা পান, সেজন্য এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা চলমান থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ। 

একরাম/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়