ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

বসুন্ধরার পেপার সেক্টর সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪  
বসুন্ধরার পেপার সেক্টর সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ

বাংলাদেশ কাগজ শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড (বিপিএমএল) এবং বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (বিএমপিআইএল) নিজ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রথম সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টে পরিবেশগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সু-ব্যবস্থাপনার (ইএসজি) প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে। 

সোমবার বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-২ এ উন্মোচিত এই প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠান দুটির টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যবসায় পরিচালনার প্রতি গুরুত্বের প্রতিফলন ফুটে উঠেছে।

রিপোর্ট বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান এফসিএ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৌফিক হাসান, বিভাগীয় প্রধান-মার্কেটিং, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং সাসটেইনেবিলিটি, সেক্টর-সি, বসুন্ধরা গ্রুপ এবং এম মাজেদুল ইসলাম, কোম্পানি সেক্রেটারি, সেক্টর সি, বসুন্ধরা গ্রুপসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। 

তারা এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্যবসাক্ষেত্রে সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগগুলো প্রচারের ব্যাপারে বসুন্ধরা গ্রুপের মুখ্য ভূমিকার উদাহরণ তুলে ধরেন।

এই বিস্তারিত প্রতিবেদনটি তৈরিতে ইএসজি রিপোর্টিং এর বিষয়গুলি নিরূপণের জন্য ‘ডুয়েল মেটেরিয়ালিটি’ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এই নীতি অনুযায়ী, আর্থিক এবং অ-আর্থিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোম্পানির সাসটেনবিলিটি বিষয়ে ঝুঁকি এবং সুযোগ বিবেচনা করা হয়েছে। এই দ্বৈত দৃষ্টিভঙ্গির ফলে কোম্পানির স্থায়িত্বে একটি ভারসাম্যপূর্ণ উপস্থাপনা নিশ্চিত হয়। 

বাংলাদেশের কাগজ শিল্পের জন্য এই সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট একটি যুগান্তকারী নথি হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। এটি বিশ্বব্যাপী অনুসৃত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) এর সঙ্গে মিল রেখে এবং গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড এর নির্দেশিকা অনুযায়ী তৈরি হয়েছে। তাই এটি যে শুধু বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড এবং বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর আর্থসামাজিক এবং পরিবেশের প্রতি অবদানের কথা বলে তা না, বরং সাসটেইনেবিলিটি বা টেকসই উন্নয়নে তাদের দৃঢ়তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।

এই প্রতিবেদনটির মূল লক্ষ্য হলো, পেপার সেক্টরের কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সর্ব ক্ষেত্রেই সাস্টেইনেবিলিটি প্রাকটিসের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে এই শিল্পের গুরুত্ব প্রচার এবং প্রসার করা। এই প্রতিবেদনে কোম্পানি দুটির উদ্যোগের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখযোগ্য সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব ফেলেছে বলে প্রমাণিত।
 
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্য ধার্য করে এবং এটি অর্জনের করণীয় সকল পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরার পাশাপাশি জীবনভিত্তিক বিভিন্ন কেস স্টাডি এবং নানামুখী সাসটেইনেবিলিটি ক্যাম্পেইনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ এর প্রাক-কোভিড সময় থেকে শুরু করে ২১-২২ সালের সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডকে এই রিপোর্টে স্থান দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ