ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

যাত্রীদের প্রতাশা পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪  
যাত্রীদের প্রতাশা পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে সমৃদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত দেশের অন্যতম সেরা এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশীয় যাত্রীদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি, তা হচ্ছে ইউএস-বাংলা হবে শতভাগ যাত্রীবান্ধব বিমান সংস্থা। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা হবে সেবায় আর সাশ্রয়ী ভাড়ায়। দেশের প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী যাত্রীর পাশে থাকার অভিপ্রায় নিয়ে চলাচল করছে ইউএস-বাংলা।

দুটি ৭৬ আসনের ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলার বহরে এখন ২৪টি এয়ারক্রাফট আছে। এর মধ্যে ৪৩৬ আসনের দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ এবং ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটও আছে। যাত্রীসেবাকে আন্তর্জাতিক মানে রাখার জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সই প্রথম ব্র্যান্ডনিউ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। খুব শিগগিরই ইউএস-বাংলার বিমানবহরকে আরো সমৃদ্ধ করতে এবং নতুন নতুন রুট সম্প্রসারণের জন্য নতুন এয়ারবাস ৩৩০সহ বোয়িং ৭৩৭-৮০০ যোগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ঢাকা থেকে যশোর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনামের সঙ্গে জাতীয় বিমান সংস্থার পাশাপাশি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে দেশীয় বিমান সংস্থা হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা। সারাবিশ্বে অবস্থান করা প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে প্রায় ২৮ লাখ আছেন মধ্যপ্রাচ্যে। মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই থাকেন সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে। এক চতুর্থাংশ থাকেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সিংহভাগ প্রবাসীকে সেবা দেওয়ার জন্য ইউএস-বাংলা যাত্রার শুরু থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দোহা, মাস্কাট, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে। 

বাংলাদেশিদের অন্যতম গন্তব্য কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। দেশীয় পর্যটকদের চাহিদা পূরণে ব্যাংককে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে ভারতের বিভিন্ন গন্তব্য, বিশেষ করে কলকাতা ও চেন্নাইতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। যাত্রীদের বেশিরভাগই পর্যটন, উন্নত চিকিৎসাসেবা ও ব্যবসার উদ্দেশ্যে এ রুটে চলাচল করেন। 

স্বাধীনতার পর প্রথম কোনো বাংলাদেশি বিমান সংস্থা হিসেবে চীনের গুয়াংজুতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। করোনা মহামারির সময়েও একমাত্র দেশীয় বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। 

দেশের এভিয়েশনকে আরো বেশি গতিশীল রাখতে এবং আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে ইউএস-বাংলা খুব শিগগিরই সৌদি আরবের রিয়াদ, মদিনাসহ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নতুন রুট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

২০২৬ সালের মধ্যে লন্ডন, রোমসহ ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য এবং ২০২৮ সালের মধ্যে টরেন্টো, নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে ইউএস-বাংলা। অদূর ভবিষ্যতে ইউএস-বাংলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনাও আছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শুরু থেকেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। যাত্রী সাধারণের একনিষ্ঠ সমর্থন ও আস্থাই ইউএস-বাংলাকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে।

সর্বোপরি, দেশীয় এয়ারলাইন্সের অগ্রযাত্রাই দেশের এভিয়েশনের অগ্রযাত্রায় প্রতিফলিত হয়ে থাকে।

ঢাকা/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়