ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫ ||  চৈত্র ২৭ ১৪৩১

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অগ্নি ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অগ্নি ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের উপস্থিতিতে বিশেষ অগ্নি ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশন এই বিশেষ মহড়ার আয়োজন করে। এতে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের কর্মরতরা অংশগ্রহণ করেন।

অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেন তারা। জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রান্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরো পড়ুন:

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন,“সবার অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান থাকা জরুরি। এতে করে জরুরি অবস্থায় আগুন থেকে বাঁচা এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। জরুরি পরিস্থিতিতে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ শ্রম বিধি অনুযায়ী ভবনে কর্মরত সবার প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ধরনের মহড়া অপরিহার্য। ওয়ালটন সর্বদা এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে আসছে। সেই সাথে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতেতে সবার করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।”

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমন পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।”

এছাড়া মহড়ায় রেফ্রিজারেটর ফ্যাক্টরি-৩ এর ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. নূর কাউসার, প্রশাসন বিভাগের মো. কায়সারুল ইসলামসহ অন্যান্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপৎকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য, এই মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরি দলে বিভক্ত ছিল।ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম সঞ্চালনায় ছিলেন।

ঢাকা/পলাশ/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়