করোনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ অর্জন কঠিন: আইসিসিবি
মহামারি করোনার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ অর্জন করা কঠিন হবে বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি)।
‘কোভিড -১৯ এবং লকডাউনের অর্থনৈতিক ব্যয়’ শীর্ষক ত্রৈমাসিক বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলেছে আইসিসিবি।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক এই বাণিজ্যিক সংগঠনের বাংলাদেশ শাখা (আইসিসিবি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ পরিস্থিতিসহ বিশ্বব্যাপী লকডাউনের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিয়ে দেশি-বিদেশি সংস্থার জরিপ তথ্য আলোচনায় টেনে আনা হয়।
এতে বলা হয়, করোনা মহামারি বিশ্বজুড়েই কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনকে বাঁধাগ্রস্ত করবে। এতে অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির মতো বাংলাদেশকেও স্বাস্থ্যসেবা, টেকসই রপ্তানি, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) ও রেমিট্যান্স প্রবাহের মতো বেশ কয়েকটি সংকট মোকাবিলা করতে হবে। এসব কারণে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর সরকার নির্ধারিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির ৮ দশমিক ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও কঠিন হবে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণার ফলে পুরো অর্থনীতি কার্যত স্থবির হয়ে যায়। এর ফলে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল বিপুল সংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার কারণে ২০২০ সালে বাংলাদেশে ১৬.৪ মিলিয়ন নতুন দরিদ্র হবে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২৬ মার্চ পূর্বাভাস দিয়েছে যে ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ২.২ শতাংশ কমে যেতে পারে। এতে করে জি-২০ এর অধিকাংশ দেশ যেমন -জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও আমেরিকাতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি আয়, শিল্প উৎপাদন ও সেবা খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
সম্পদকীয়তে অর্থনীতিতে সম্ভাব্য এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যথাসময়ে বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়।
শাহ আলম খান/ইভা