ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

বাংলাদেশে এ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১.৬ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ৮ অক্টোবর ২০২০  
বাংলাদেশে এ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১.৬ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। পরের অর্থবছরে (২০২১-২০২২) প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংক থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর করা সংস্থাটির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চল মন্দায় ডুবে আছে। লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। কমে এসেছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। করোনার প্রভাব বাংলাদেশে পড়লেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকছে বাংলাদেশ। করোনার প্রভাবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হবে ০ দশমিক ৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে ভারত। তাদের প্রবৃদ্ধি হবে মাইনাস ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। 

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে মালদ্বীপ। চলতি অর্থবছরে তাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, যা তার পরের বছর আরও বেড়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। চলতি অর্থবছর আফগানিস্তানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, তার পরের অর্থবছর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ভুটানের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, তার পরের অর্থবছরে তা হবে ২ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি এ অর্থবছরে হতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ কমবে। উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে মজুরি কমবে। ফলে বেসরকারি ভোগব্যয় কমতে পারে। তৈরি পোশাকের চাহিদা তৈরি হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এসব কারণে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে চরম বিপত্তি দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি রেমিট্যান্স বাড়লেও তা সাময়িক মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

করোনা সংক্রমণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং অনানুষ্ঠানিক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে যাচ্ছে এবং এ অঞ্চলে করোনার প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শমিক ২ শতাংশ হবে বলে বাংলাদেশের প্রত্যাশা। সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।

ঢাকা/হাসিবুল/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়