ক্ষতিগ্রস্ত এমএসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার দাবি
করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (এমএসএমই) জন্য বিসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা।
বুধবার (২১ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং জাতীয় এসএমই নীতি ২০১৯ বাস্তবায়ন’ সংক্রান্ত এক সংলাপে অংশ নিয়ে উদ্যোক্তারা এ কথা বলেন। জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) এবং অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহ্উদ্দিন মাহমুদ এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
নাসিব’র সভাপতি মির্জা নুরুল গণী শোভনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পৃথক দুটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্যাহ এবং অ্যাকশন এইড এর উপব্যবস্থাপক মো. হাতেম আলী।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, এমএসএমই শিল্পখাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। দেশের জিডিপিতে এখাতের অবদান ২৫ শতাংশ হলেও ব্যাংকিং জটিলতার কারণে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না। এসএমইখাতের জন্য বরাদ্দ করা প্রণোদনার ২০ হাজার কোটি টাকার অধিকাংশ এখনও অব্যবহৃত রয়ে গেছে। তারা দ্রুত অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করে এমএসএমইখাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহ্উদ্দিন মাহমুদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের এমএসএমই উদ্যোক্তারাই দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। করোনার ফলে তাদের পণ্য বিপণন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতিতে মারাত্মক ধাক্কা লেগেছে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ জিডিপিতে এসএমইখাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত করতে জাতীয় এসএমই নীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় গঠিত ৭টি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে এ নীতি বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে একটি এসএমই উইং গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা/হাসান/জেডআর