ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২১ ১৪৩১

তৈরি পোশাকখাত একটি বাই-সাইকেলের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৮, ৮ মে ২০২১  
তৈরি পোশাকখাত একটি বাই-সাইকেলের মতো: বাণিজ্যমন্ত্রী

দেশের তৈরি পোশাকখাতকে একটি বাই-সাইকেলের চাকার সঙ্গে তুলনা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘আরএমজি খাত একটি বাই-সাইকেলের মতো। এর মধ্যে একটি চাকা হলো মালিক-উদ্যোক্তা। আরেকটি শ্রমিক ভাই-বোনেরা। তাদেরও ভাগ্যের উন্নতি হওয়া দরকার।’

শনিবার (৮ মে) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত (ভার্চুয়ালি) ‘করোনা মহামারির এই সময়ে তৈরি পোশাক খাতে করপোরেট জবাবদিহিতা এবং শ্রমিদের কল্যাণ নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী  এসব কথা বলেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষক গোলাম মোয়াজ্জেম।  
 
বাণিজ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘রানা প্লাজার ঘটনার পর সবাই খুব আতঙ্কে ছিল। তবে সেই ঘটনাটি একটা বিপদ থেকে সম্পদে রূপান্তর হয়েছে। প্যাক্টিরিগুলো নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজকে বিশ্ব বলে, রানা প্লাজার পরে আমাদের কারখানা অনেক ভালো অবস্থায় এসেছে। এখন কারখানা তৈরির ক্ষেত্রে অনেক উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেছে। আমরা মনে করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজকে আরএমজি এগিয়েছে।’

সিপিডির প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তাতে আরএমজির ভালো ও খারাপ দিকের বিষয় উঠে এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে, গবেষণার ক্ষেত্রে কারখানার সংখ্যার পাশাপাশি কোন কারখানায় কতজন শ্রমিক কাজ করছেন, তা যেমন থাকা দরকার, তেমনি এর মধ্যে কারা কেমন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, তাও থাকা দরকার। এখন কেউ যদি বলে মাঝারি ও ছোট কারখানায় সমস্যা রয়েছে। আবার বড় কারখানায় সুবিধা আছে। এতে কী বোঝা যাচ্ছে? সঠিক চিত্র আসছে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ একটি বড় কারখায় যদি মনে করেন, ২০ হাজার লোক কাজ করেন, আর ছোট বা মাঝারি কারখানায় ৫০টি মিলে ২০ হাজার লোক কাজ করেন, তাহলে দুইটা মিলে কারখানার চিত্র এক করলে হবে না।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘অনেক আইন হয়েছে এবং আরও আইন করতে হবে। আমাদের যে বিষয় লক্ষ রাখা দরকার, আমাদের শ্রমিক শ্রেণীর যে প্রাপ্য, মালিকরা যেন সর্বদা সেদিকে দৃষ্টি দেন। তাদের সুযোগ পাওয়া উচিত, এই যে তাদের যে সামাজিক দায়বদ্ধতা, তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। তবে আমি মনেকরি, আমাদের যে যোগ্য উদ্যোক্তা রয়েছে, পাশাপাশি যোগ্য শ্রমিক নেতারা রয়েছেন, আমি একটা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং গত ৩৫ বছরের উদ্যোক্তার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই। আমাদের যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়া দরকার। সমস্যা যেখানে আছে, যেখানে দায়বদ্ধতা আছে, সেখানে দায়িত্ব নিতে হবে আমাদের।’

আন্তর্জাতিক বজারে পণ্যের মূল্যের বিষয়ে মন্ত্রী গবেষক, উদ্যোক্তা ও শ্রমিক নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের মূল্য নিয়ে আমাদের একযোগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে হবে। সবাইকে কথা বলতে হবে। শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বললে হবে না। আমাদের ন্যায‌্য মূল‌্যের বিষয়ে সবাইকে কথা বলতে হবে। যেন দেশি উদ্যোক্তারা বাঁচার মতো মূল্যটা পায়। তা না হলে আমদের কারখানা টিকে থাকবে না, শ্রমিকরাও টিকে থাকবেন না।’

ঢাকা/শিশির/এনই/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়