ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

জেনেভা সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দাবি অগ্রাধিকার পায়নি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩২, ২০ নভেম্বর ২০২২  
জেনেভা সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দাবি অগ্রাধিকার পায়নি

ধনী দেশগুলোর অবহেলায় স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল হওয়া দেশগুলো ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। গত জুনে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ১২তম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রিসভা সম্মেলনেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উত্থাপিত দাবি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি।

রোববার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং বাংলাদেশের অংশীদারত্বে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত
‘ডব্লিউটিও-এমসি-১২ আউটকামস নেক্সট স্টেপস ফর বাংলাদেশ অ্যাজ এ গ্র্যাজুয়েটিং এলডিসি’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দাবিগুলো ডব্লিউটিও-এমসি১২-এ উপেক্ষিত হয়েছে। সম্মেলনে উন্নত ও ধনী দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

ড. মুস্তাফিজুর বলেন, বাংলাদেশের প্রধান এজেন্ডা এলডিসি গ্রাজুয়েশন। এর আগে গ্রাজুয়েশন পাওয়া ছয়টি দেশের বেশিরভাগই ছোট অর্থনীতির। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যা সর্বাধিক সুবিধা নিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু, এলডিসি উত্তরণের পর অনেক সুবিধাই হারাতে হবে। রপ্তানি খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ সুবিধা বাংলাদেশের জন্য থাকবে না।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ফোরামে বাংলাদেশের স্বার্থ একচেটিয়াভাবে আলোচনা ও সুরক্ষিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি পৃথক এবং নিবেদিত সেল গঠন করা উচিত।

সিপিডির ফেলো এবং সংলাপ অনুষ্ঠানের সূত্রধর ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যেসব দেশ আগে এলডিসি গ্রাজুয়েশন হয়েছে, তারা জনসংখ্যা ও অর্থনীতির আকারের দিক থেকে ছোট। অর্থনীতি ও জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বৃহৎ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেটি এলডিসি হিসাবে পাওয়া সুযোগগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে। দেশটি অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ব্যবহার করে রপ্তানি বাড়িয়েছে। এই ধরনের সুযোগগুলো চলতে না থাকলে তারা কিভাবে কাজ করবে? এমসি-১২ এর ঘোষণায় গ্রাজুয়েশন হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, সেগুলো অতিক্রম করার জন্য কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।

ড. দেবপ্রিয় আরও বলেন, ধনী দেশগুলোর অবহেলার কারণে গ্রাজুয়েশন পাওয়া দেশগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ভবিষ্যৎ নন-এলডিসি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচনা করে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আরও অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির ফেলো ড. মোস্তফা আবিদ খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুণ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. তৌফিক আলী, সাবেক সচিব সোহেল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

মেয়া/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়