মার্সেল-নয়া দিগন্ত বিশ্বকাপ কুইজের ড্র অনুষ্ঠিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ফুটবলের মেগা আসর বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে। ১৮ ডিসেম্বর আসরের উত্তেজনাকর ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনা। ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে মার্সেল-নয়া দিগন্ত বিশ্বকাপ কুইজ আয়োজন করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নয়া দিগন্তের বোর্ড রুমে মার্সেল ও নয়া দিগন্তের কমর্কর্তাদের উপস্থিতিতে কুইজের ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
ড্রয়ে প্রথম পর্বে প্রথম পুরস্কার মার্সেল রেফ্রিজারেটর (২২৩ লিটার) জিতেছেন ইসমাইল হোসেন, পিতা: মিসকাতুর, আজিমপুর, ঢাকা। দ্বিতীয় পর্বের প্রথম পুরস্কার মার্সেল ৪০ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড টিভি জিতেছেন ফাতেমা, পিতা: ইমাম উদ্দিন, সোনাপুর, ফেনী।
ড্র অনুষ্ঠানে মার্সেলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (পিআর মিডিয়া
অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডেপুটি ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স) আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপাল অফিসার (মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স) আরজু হোসাইন। নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর, চিফ ফটোগ্রাফার নাসিম সিকদার, স্পোর্টস রিপোর্টার মীর মোকাম্মেল আহছান, জিএম (মার্কেটিং) মোস্তাফিজুর রহমান, হেড অব মার্কেটিং (ডিজিটাল) আনোয়ারুল ইসলাম জয়, সিনিয়র ম্যানেজার ফজলুল হক, ডেপুটি ম্যানেজার মনিরুজ্জামান, ডেপুটি ম্যানেজার আমির হোসেন, মার্কেটিং অফিসার শাকিল আহমেদ আকন প্রমুখ।
ড্র অনুষ্ঠান শেষে মার্সেলের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বিশ্বকাপ ফুটবলের কুইজের ড্র পর্ব সুন্দরভাবে করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে, প্রতি চার বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপ আমাদের দরজায় কড়া
নাড়ে। বিশ্বকাপকে নিয়ে সবার মাঝেই উত্তেজনা কাজ করে। আমরা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর বাইরে না। ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পত্রিকা পাঠকদের জন্য এই কুইজের ব্যবস্থা। এ বছর আমরা ১৮টি পত্রিকার সাথে কাজ করেছি। এর মধ্যে নয়া দিগন্ত একটি। নয়া দিগন্তের সাথে আমরা শুরু থেকেই কাজ করছি। তারা প্রতিটি কার্যক্রমে আমাদেরকে সাথে নিয়ে পথ চলে। নয়া দিগন্তের হিউজ পরিমাণ পাঠক আছে, আমরা সবাই জানি। নয়া দিগন্ত অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করছে। ভবিষ্যতে যেকোনো কর্মকাণ্ডে আমরা তাদের সাথে রাখব।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, প্রথমে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আমাদের ড্র’টা সুন্দরভাবে হওয়ার জন্য। বিশেষ করে আমি মার্সেলকে ধন্যবাদ জানাই। মার্সেলের অন্যতম কমকর্তা যেভাবে বললেন, ওনারা আমাদের সাথে আছেন। এতে আমরা গর্ববোধ করি। আমাদের যে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, সেটাও আমরা মার্সেলকে কিছুটা কন্ট্রিবিউট করতে পারি। বিশেষ করে যারা কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন, এসব পরিবারের মধ্যে নয়া দিগন্ত প্রবেশ করেছে মার্সেলকে পরিচিত করার জন্য। এটাও একটা বড় পাওয়া বলে আমি মনে করি। ইনশাআল্লাহ, যে আশ্বাস আমরা মার্সেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পেলাম, যেকোনো কার্যক্রমে তারা আমাদের সাথে থাকবেন। আমরাও আশা করি, মার্সেলের সাথে থাকব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহয়তা করুক, মার্সেলকেও সহায়তা করুক। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
কুইজের ড্র শেষে শুভেচ্ছা বক্তৃতায় সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, মার্সেলকে ধন্যবাদ। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড মার্সেলের সাফল্য কামনা করছি। ভবিষ্যতে নয়া দিগন্ত ও মার্সেল পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। কুইজে বিজয়ীদের অভিনন্দন।
নয়া দিগন্ত মার্সেল কুইজে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় পুরস্কার মার্সেল ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি পেয়েছেন ইলমা, পিতা: ফরিদ মিয়া, কুমিল্লা। তৃতীয় পুরস্কার মার্সেল মাইক্রোওয়েভ ওভেন পান সুফিয়ান, পিতা: আবুল
কাশেম, কমলাপুর, ঢাকা। চতুর্থ পুরস্কার তিনটি মার্সেল রাইস ককুার পেয়েছেন ওয়ালিদ, পিতা: টিপু, ঢাকা। ছিনথিয়া, পিতা: মিন্টু, ঢাকা। স্বপন, পিতা: আমিনুল হক, ঢাকা। পঞ্চম পুরস্কার তিনটি মার্সেল ব্লেন্ডার পেয়েছেন যথাক্রমে মালিহা, পিতা: রিপন, চাঁদপুর। কেয়া, পিতা: আ. কাজল, বংশাল, ঢাকা এবং রুমা, পিতা: আকাছ, পাগলা, ঢাকা।
দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় পুরস্কার মার্সেল রেফিজ্রারেটর (২২৩ লিটার) পেয়েছেন রবিউল, পিতা: মহির উদ্দিন, মতিঝিল, ঢাকা। তৃতীয় পুরস্কার মার্সেল মাইক্রোওয়েভ ওভেন পেয়েছেন মালিহা, পিতা: মোশাররফ, চাঁদপুর। চতুর্থ পুরস্কার তিনটি মার্সেল রাইস কুকার পেয়েছেন যথাক্রমে নুরজাহান, পিতা: মনিরুজ্জামান, সাঘাটা, গাইবান্ধা। সিয়াম, পিতা: সবুজ, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা এবং আহাদ, পিতা: জাকির, ঢাকা। পঞ্চম পুরস্কার তিনটি মার্সেল ব্লেন্ডার পেয়েছেন নুরুল হক, পিতা: আব্দুল হামিদ, কুমিল্লা। সিমতি, পিতা: মিন্টু, ঢাকা এবং রোকেয়া আক্তার, পিতা: সিরাজ উল্লাহ, জনসংযোগ অফিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা/রফিক