ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানায় এগিয়ে বাংলাদেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১১:০৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানায় এগিয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার ‘লিড প্লাটিনাম’ সনদ পেয়েছে অনন্ত গার্মেন্টস অ্যান্ড স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড। এই পোশাক কারখানাটি ৮৯ স্কোর পেয়ে লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন লেভেল অর্জন করেছে। এ নিয়ে দেশে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা ১৮৮টিতে দাঁড়ালো। এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানায় আরও এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বে ১০০টি সেরা সবুজ কারখানার মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ৫১টি। অনন্ত গার্মেন্টস অ্যান্ড স্পোর্টসওয়্যার সনদ পাওয়ার আগে এই সংখ্যা ছিলো ৫০-এ। অর্থাৎ দিন দিন দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বাড়ছে। দেশে মোট পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার মধ্যে প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে ৬৪টি, গোল্ড সনদধারী ১১০টি, সিলভার ১০টি এবং সার্টিফাইড ৪টি কারখানা রয়েছে।

বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ছে। আমরা যেখানে অর্থনীতি নিয়ে, রপ্তানি নিয়ে, রপ্তানির ক্রয়াদেশ নিয়ে চিন্তিত সে সময় লিড সার্টিফায়েড কারখানার মাধ্যমে নিয়মিত ব্র্যান্ডিং করে আসছি। এছাড়া সেফটি সিকিউরিটিসহ অন্যান্য বিষয় পরিপালন তো আছেই। এসব কারণে বাংলাদেশের পোশাকের ওপর বায়ারদের ক্রমাগত আস্থা বাড়ছে। যা আমাদের কাজের শক্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলে।

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক দুর্যোগ কখন শেষ হবে জানিনা তবে অন্যদের চেয়ে ক্ষতি মোকাবিলা করে ভালো অবস্থানে থাকতে সবুজ কারখানা সহযোগিতা করছে। আমাদের পণ্য বায়ারদের পছন্দের তালিকার সেরা অবস্থানে রয়েছে। সবুজ কারখানায় যারা আগে বিনিয়োগ করেছে তারা এখন ফল পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের পোশাক কারখানার মালিকরা এভাবে ক্রমাগত সবুজ কারখানায় বিনিয়োগ করলে দুর্যোগ মন্দা মোকাবিলার পর ভালো ফলাফল বয়ে নিয়ে আসবে। এতে অন্যদের চেয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবে বলে মনে করছে বিজিএমইএ।

উল্লেখ্য, বিশ্বের যেসব প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সনদ দেয় তাদের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউএসজিবিসি। সংস্থাটির অধীনে কলকারখানার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভবন, স্কুল, হাসপাতাল, বাড়ি, বিক্রয়কেন্দ্র, প্রার্থনার কেন্দ্র ইত্যাদি পরিবেশবান্ধব স্থাপনা হিসেবে গড়ে তোলা যায়। তারা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। এজন্য নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করে আবেদন করা যায়। লিড সনদের জন্য ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ পয়েন্ট আছে। এর মধ্যে পয়েন্ট ৮০ পয়েন্টের বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ হলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ হলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ হলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ মেলে। দেশের পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার অধিকাংশই ইউএসজিবিসির অধীন সনদ পেয়েছে।

/নাজমুল/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়