উপবৃত্তি বিতরণে নগদ-এর সঙ্গে সরকারের ৫ বছরের চুক্তি
প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণে ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর সাথে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে আগের মতো ধারাবাহিকতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি বিতরণ করবে নগদ লিমিটেড।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাহ রেজওয়ান হায়াত, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. ছালেহ আহাম্মদ ও নগদ এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. হারুনুর রশীদ, নগদ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মায়ের হাতে উপবৃত্তি পৌঁছে দেওয়াটা একটা অসাধারণ কাজ হয়েছে। আমি আশ্বস্ত করব, নগদ এর দিক থেকে যতভাবে সম্ভব যতটা ত্রুটিহীনভাবে করা সম্ভব, সেই চেষ্টাটা করা হবে।
তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়, মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটু সচেতন যদি করে দেন, যাতে গ্রাম পর্যায়ে মায়েরা এসব প্রতারকের ফাঁদে না পড়ে, তাহলে আমার মনে হয় এটাকে একেবারে ত্রুটিহীনভাবে করা যেতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি বলব আজ নগদ-এর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, কারণ আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণের খবর পাওয়া আজ নগদ-এর জন্য বড় ঘটনা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, নগদ-এর মাধ্যমে উপবৃত্তি দেওয়ার জন্য পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করেছি, এর মধ্যে মূল্যায়নও আছে, আমরা মূল্যায়নও করব। আমাদের দেখভালের ব্যবস্থা করব, নগদ যাতে বিকাশ বা শিওর ক্যাশের মতো আমাদের কষ্ট না দেয়, সেটাই আশা করব।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৬-২৭ অর্থ বছর পর্যন্ত মধ্য মেয়াদে পারফরমেন্স মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের শর্তে পাঁচ বছরের জন্য নগদ লিমিটেড এর মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে ডাক অধিদপ্তর ও নগদ লিমিটেড-এর চুক্তি সম্পাদন হয়।
চুক্তির বিষয়ে নগদ লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, সরকারের উপবৃত্তি বিতরণের ফলে এখন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার অনেক কমে গেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক জানে না যে উপবৃত্তি আসে কোথায় থেকে! আমরা নগদ-এর পক্ষ থেকে সারা দেশে সবাইকে জানাতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী এই উপবৃত্তি প্রদান করে থাকেন। মধ্যে একটি বিষয়ে ধারণা চুক্তি থেকে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটি-এর মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করছে। এতে পরিচালন বাজেটে প্রতি অর্থবছর প্রায় ২০০০ কোটি বিতরণ করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের জন্য আজ ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি সম্পাদিত হলো।
/সাজ্জাদ/সাইফ/