ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

এফবিসিসিআই নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ১ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ০৯:৩১, ১ আগস্ট ২০২৩
এফবিসিসিআই নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে পরিচালক পদে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ১৫, ঐক্য পরিষদের ৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের জন্য খাত ভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২৩ জন নির্বাচিত হন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে  সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।  বিরতিহীন ভোটগ্রহণ শেষে এফবিসিসিআই নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী রাত সাড়ে ৩টার দিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য শামছুল আলম এবং এম এন মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচিতদের মধ্যে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে হাফেজ হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ ১২৯৪, বি. এম. শোয়েব ১২৭৯, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ ১২৫৭, সিরাজুল ইসলাম ১২৪৬, মো. সহিদুল হক মোল্যা ১২১৫, নিজাম উদ্দিন রাজেশ ১১৯১, মো. মুনতাকিম আশরাফ ১১৭৫, রাকিবুল আলম দীপু ৯৯২, মোহাম্মদ আফতাব জাভেদ ৯৬৬, মো. ইসহাকুল হোসেন সুইট ৮৯১, আমির হোসেন নূরানী ৮৫২, সৈয়দ মো. বখতিয়ার ৮৪০, তপন কুমার মজুমদার ৮৩৫, সালমা হোসেন অ্যাশ ৮৩১ এবং হাজী মো. আবুল হাশেম ৮১৫ ভোট পেয়ে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।
 
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নির্বাচিতদের মধ্যে কাওসার আহমেদ ১০৩০, খন্দকার রুহুল আমিন ৯৮৮, মো. আমিন হেলালী ৯১১, মো. নিয়াজ আলী চিশতী ৯০৯, আবু মোতালেব ৮৯৯, শমী কায়সার ৮৫২, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি ৮৩৭ এবং হাফেজ হারুন পান ৮১৩ ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে আগামী ২ আগস্ট এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ছয় জন সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন:

খাত ভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ২৩ জন পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ৪৯ প্রার্থী। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন পরিচালক প্রার্থী।

এবারের নির্বাচনে খাত ভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনে প্রাথমিকভাবে মোট ১ হাজার ৯৯০ জন ভোটার থাকলেও যাচাই বাছাই শেষে ১ হাজার ৯৫৪ জন ভোটার ভোট প্রদানের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পান। সেই ভোটারদের মধ্য থেকে নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ১ হাজার ৭৪৬ জন। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. মতিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। কারণ ভোটারদের এনআইডি কার্ড ও স্বাক্ষর মিলিয়ে তারপর ভোট প্রদানে অনুমোদন করা হয়েছে। কোনো বেনামী বা জাল ভোট হয়নি। সব ভোটারই সঠিক ছিলেন। তবে সামান্য কিছু অভিযোগ ছিল, সেগুলো দ্রুতই সমাধান করা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ খুবই শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর ছিলো।

এনএফ/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়