ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশনে রেজিস্ট্রেশন করবেন

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ২৬ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ১৮:৪৫, ২৬ আগস্ট ২০২৩
স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশনে রেজিস্ট্রেশন করবেন

স্বল্প উপার্জনের কথা বিবেচনা করে সঙ্গতিপূর্ণভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে চাঁদার পরিমাণ/ ছবি: প্রতীকী

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৩ প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছেন। ১৭ আগস্ট তিনি এটির উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে দেশের সর্বসাধারণের আর্থিক নিরাপত্তার সুযোগ। এমনকি, স্বল্প আয়ের কর্মজীবীরাও সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রকল্পটিতে নিবন্ধন করে নিজেদের জন্য স্বনির্ভর বার্ধক্যের সুব্যবস্থা করতে পারবেন। এই শ্রেণীটিকে কেন্দ্র করেই “সমতা” নামে সম্পূর্ণ পৃথক একটি উপ-স্কিমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে। তাদের স্বল্প উপার্জনের কথা বিবেচনা করে সঙ্গতিপূর্ণভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে পেনশনের চাঁদার পরিমাণ।

আসুন জেনে নেই ‘সমতা’ পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির বিস্তারিত নিয়মাবলী।

দেশের প্রতিটি পেশাজীবী মানুষই অংশ নিতে পারবেন সর্বজনীন পেনশন স্কিমে। তবে তার জন্য তাদের প্রাথমিক শর্তাবলি পূরণ করতে হবে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ অনুসারে সাধারণ শর্তগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-

* স্কিম গ্রহণের বয়সসীমা হলো সর্বনিম্ন ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বছর বয়স, যা যাচাই করা হবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড (এনআইডি) অনুসারে।

* যাদের বয়স ৫০-এর বেশি, তারা বিশেষ বিবেচনায় শুধুমাত্র ১০ বছর মেয়াদের স্কিমটিতে অংশ নিতে পারবেন। টানা ১০ বছর সময়মত নির্ধারিত কিস্তিতে চাঁদা চালানোর পরই তারা উপযুক্ত হবেন আজীবন মাসিক পেনশন পাওয়ার জন্য।

* স্কিম শুরুর জন্য যাবতীয় সঠিক তথ্য দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পূর্বের সুবিধাগুলো বাদ দেওয়ার পর এই স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

* স্কিম চালু হওয়ার পর পরই নিবন্ধনকারীর নামে স্কিম সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেব পরিচালনার জন্য একটি আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলা হবে।

* মাসিক পেনশন চলাকালীন পেনশন গ্রহণকারী মারা যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে তার মাসিক পেনশনগুলো দেওয়া হবে তার মনোনীত নমিনিকে। নমিনির এই পেনশন প্রাপ্তির মেয়াদ মুল পেনশন গ্রহণকারীর ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত। অর্থাৎ, মুল পেনশন গ্রহণকারী ৬৮ বছর বয়সে মারা গেলে, তার মাসিক পেনশনগুলো তার নমিনি পাবেন পরবর্তী সাত বছর।

* পেনশন স্কিম পরিণত হওয়ার পূর্বে চাঁদা দেওয়ার সময় মারা যেতে পারেন স্কিম নিবন্ধনকারী। এমতাবস্থায় তার মনোনীত নমিনি তার চাঁদা হিসেবে জমাকৃত সব টাকা মুনাফাসহ পাবেন। উল্লেখ্য যে, পেনশন স্কিমের প্রত্যেক প্যাকেজে চাঁদা দেওয়ার মেয়াদ কমপক্ষে ১০ বছর।

* পেনশনের জন্য যে টাকা চাঁদা হিসেবে দেওয়া হবে তা নিবন্ধনকারীর বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে। পরবর্তীতে তিনি যখন মাসিক পেনশন পাওয়া শুরু করবেন, তখন সেই পেনশনের উপর তাকে কোনো আয়কর দিতে হবে না।

* মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস)-এর মাধ্যমে সরকারি সেবা গ্রহণকালীন ক্যাশ আউট চার্জ ০.৭০% (শূন্য দশমিক সাত শতাংশ) বা প্রতি হাজারে ৭ টাকা। এই সার্ভিস চার্জটি এই স্কিমের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। গত ১৬ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে এই অভিন্ন সার্ভিস চার্জের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় পেনশন স্কিমকে।

‘সমতা’ পেনশন স্কিমে কিস্তিতে কত টাকার বিনিময়ে কত টাকা পেনশন

মাসিক চাঁদার হার ১,০০০ টাকা (চাঁদাদাতা ৫০০ টাকা + সরকারি অংশ ৫০০ টাকা)

চাঁদা প্রদানের মোট সময়কাল (বছরে)

সম্ভাব্য মাসিক পেনশন (টাকা)

৪২

৩৪,৪৬৫

৪০

২৯,২০০

৩৫

১৯,১৮৭

৩০

১২,৪৬৬

২৫

 ৭,৯৫৫

২০

৪,৯২৭

১৫

২,৮৯৪

১০

 ১,৫৩০

সূত্র: বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, আগস্ট ১৩, ২০২৩

চাঁদা দেওয়ার এই হারটি নির্ধারণ করা হয়েছে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের জন্য। যাদের আয় বছরে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা, শুধুমাত্র তারাই এই সমতা স্কিম নিতে পারবেন। তাদের নির্ধারিত চাঁদার অর্ধেক জমা হবে সরকারি তহবিল থেকে, আর বাকি অর্ধেক তারা নিজেরা দেবেন।

যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন

পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য চলে যেতে হবে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে। অতঃপর ক্লিক করতে হবে ওয়েবসাইটের উপরে ডান দিকে ‘পেনশনার রেজিস্ট্রেশন’ মেনুতে। এরপরেই শুরু হয়ে যাবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। চলুন, ধারাবাহিকভাবে পুরো পদ্ধতিটি জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণ শর্তাবলিতে সম্মতি

নিবন্ধনের মূল অংশে যাওয়ার আগে প্রথমে তিনটি শর্তাবলিতে সম্মতি জ্ঞাপন করতে হবে। এগুলো হলো-

* আবেদনকারী কোনো ধরনের স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব, সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরিরত নন।

* প্রার্থী কোনো স্বায়ত্তশাসিত অথবা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো রকম সুবিধাপ্রাপ্ত নন।

* প্রার্থী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে কোনো সুবিধাপ্রাপ্ত নন।

এ শর্তগুলো মেনে নিচে থাকা ‘আমি সম্মত আছি’ বাটনে ক্লিক করার পরেই যাওয়া যাবে নিবন্ধনের পাতায়। এই সম্মতি ব্যতীত আবেদনটি শুরুই করা যাবে না। চাঁদা দেওয়া শুরু করার পর উপরোক্ত শর্তের কোনো ব্যতিক্রম পাওয়া গেলে আবেদনসহ পুরো নিবন্ধনটিই বাতিল হবে। উপরন্তু, ভুল তথ্য সরবরাহকারী চাঁদা হিসেবে জমা করা কোনো অর্থ ফেরত পাবেন না।

স্কিম ও পরিচিতি নির্ধারণ

এটি নিবন্ধনের প্রথম পাতা, যেখানে উল্লেখিত অপশনগুলো থেকে ‘স্বল্প আয়ের ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিটি নির্বাচন করতে হবে। তারপর পরিচয় প্রমাণের জন্য ১৭, ১৩ কিংবা ১০ অঙ্কের এনআইডি সংখ্যা এবং জন্ম তারিখ দিতে হবে। যোগাযোগের জন্য সরবরাহ করতে হবে নিয়মিত ব্যবহার করা মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল ঠিকানা। তথ্য প্রবেশ করানোর পর যাচাইয়ের জন্য ই-মেইল ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বারে চলে যাবে একটি ওটিপি বা ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড। এটি নির্ভূলভাবে অনলাইন ফর্মের নির্ধারিত জায়গায় বসাতে হবে। সবশেষে নিচের দিকে থাকা ক্যাপচাটি কোনো রকম ভুল ছাড়াই পূরণ করে সাবমিট করলেই পরের সেকশনের কাজ শুরু হবে।

ব্যক্তিগত তথ্যাবলি

আগের পেজে যেহেতু এনআইডি সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাই এখানে প্রার্থী তার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো আগে থেকেই পূরণ করা দেখতে পাবেন। অর্থাৎ প্রার্থীর এনআইডি সংখ্যা থেকে শুরু করে তার ছবি, বাংলা ও ইংরেজিতে পূর্ণ নাম, পিতা ও মাতার নাম, এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা- সবই পূরণ করা থাকবে। জেলা-উপজেলা ও বিভাগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর নিজের অবস্থানগুলো ড্রপ-ডাউন লিস্ট থেকে বাছাই করে দিতে হবে।

পেশা/কর্ম সুনির্দিষ্টকরণ

এখানে আগে থেকে উল্লেখ করা বিভিন্ন পেশা থেকে স্বল্প আয়ের কর্মীকে তার নিজের পেশাটি বাছাই করে দিতে হবে। বার্ষিক আয়ের শূন্যস্থানটিতে বার মাসের মোট আয়ের সংখ্যাটি টাইপ করে বসাতে হবে।

স্কিমে চাঁদা দেওয়ার তথ্য

এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে স্কিম গ্রহণকারি চাঁদার কোন কিস্তিটি নিচ্ছেন তা উল্লেখ করতে হবে। মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক- এই তিনটি উপায়ের মধ্য থেকে যেকোনো একটি প্রার্থী চাঁদা দেওয়ার জন্য বেছে নেবেন।

চাঁদা দেওয়ার মাধ্যম

এখানে যোগ করতে হবে চাঁদা প্রদানকারীর ব্যাংকের যাবতীয় তথ্যাবলি। এখানে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অ্যাকাউন্টটি খোলার সময় সরবরাহ করা তথ্যাবলির সঙ্গে হুবহু মিল থাকতে হবে। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার, হিসাবের ধরণ তথা- সঞ্চয়ী নাকি চলতি, এগুলোর মধ্যে কোনো অসমাঞ্জস্যতা থাকা চলবে না। প্রতিটি ব্যাংকেরই ৯ অঙ্কবিশিষ্ট একটি এক ও অদ্বিতীয় রাউটিং সংখ্যা থাকে। সেই সংখ্যাটি রাউটিং নাম্বারের পাশের শূন্যস্থানে লিখতে হবে। যারা সংখ্যাটি জানেন না, তাদের জন্য আছে পাশের ‘রাউটিং নম্বর জানা নাই’ বাটনটি। সেখানে ক্লিক করলে ছোট্ট একটি বক্স আসবে, যেখানে ব্যাংক ও তার শাখার দুটো আলাদা ড্রপ-ডাউন লিস্ট থাকবে। এই লিস্টগুলো থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও তার শাখার নাম বাছাই করে দিতে হবে। প্রার্থী এখানে তার কাছাকাছি অবস্থিত সেই ব্যাংকের যেকোনো শাখা নির্বাচন করে দিতে পারেন। তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বক্সটি চলে যাবে এবং সেই রাউটিং নাম্বারের পাশের ঘরটি পূরণ দেখাবে।

এক বা একাধিক নমিনির তথ্যাবলি

পেনশন গ্রহণকারী বা পেনশনের জন্য চাঁদাদানকারীর অবর্তমানে তার পেনশন বা চাঁদা হিসেবে জমা করা টাকা মুনাফাসহ দেওয়ার জন্য মনোনীত নমিনির তথ্য এখানে সংযুক্ত করতে হবে। প্রথমে নমিনির এনআইডি সংখ্যা ও জন্ম তারিখ দিয়ে নিচের ‘নমিনি যুক্ত করুন’ অংশে ক্লিক করতে হবে। ফলে বাকি অংশে নমিনির মোবাইল নাম্বার, প্রার্থীর সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং প্রার্থীর অংশের কতটুকু তিনি পাবেন- সে তথ্যের ঘরগুলো থাকবে। একজন নমিনির ক্ষেত্রে প্রার্থীর সমুদয় অর্থের অঙ্ক বসাতে হবে।

প্রার্থী চাইলে একের অধিক নমিনি যুক্ত করতে পারেন এবং সে জন্য তাকে ‘আরও নমিনি যুক্ত করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর প্রত্যেকে তার কত অংশ করে পাবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে।

তথ্য যাচাই

আবেদনের এই শেষ অংশে এতক্ষণ যাবৎ প্রদানকৃত যাবতীয় তথ্যাবলি একসঙ্গে প্রদর্শিত হবে। এগুলো সব নির্ভুলভাবে দেওয়া হয়েছে কি-না তা যাচাই করে জমা দিলেই নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। পরিশেষে সফলভাবে জমা করা আবেদনটি ডাউনলোড করে রাখতে হবে, যেন পরবর্তীতে যে কোনো প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে।

চাঁদা জমা করার উপায়

অনলাইন নিবন্ধনের সময় সরবাহ করা মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানায় নিবন্ধনকারির চাঁদা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রতি কিস্তির টাকা সময়মতো জমা দিতে হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। কোনো কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে, জরিমানা ছাড়া চাঁদা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হবে সর্বোচ্চ এক মাস। এই অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে চাঁদা না দেওয়া হলে, পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য জরিমানা ধার্য হবে ১% হারে। পুনঃ পুনঃ চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধনকারীর স্কিম অ্যাকাউন্টটি নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে।

শেষাংশ

দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির নিমিত্তে নির্ভরশীল বয়স্ক জনগোষ্ঠীর নেতিবাচক প্রভাবের সবচেয়ে বড় শিকার স্বল্প উপার্জনকারীরা। সেখানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশন তাদের জন্য হতে পারে একটি মুক্তির উপায়। তাদের বার্ধক্যকালীন এক নির্ভরযোগ্য আয়ের খাতে পরিণত হতে পারে সমতা স্কিম। ফলশ্রুতিতে, তারা পেতে পারেন এক মর্যাদাপূর্ণ অবসর। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সম্ভাবনা হতে পারে ভবিষ্যতের তরুণ কর্মজীবীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সহায়ক। বৃহৎ পরিসরে এই কর্মসূচির সুফল হিসেবে দেশের বর্ধমান জনগণ পরিণত হতে পারে জনশক্তিতে। সূত্র: ইউএনবি

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়