ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

বাংলাদেশে রেকর্ড ২০৬টি পরিবেশবান্ধব কারখানা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪০, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩  
বাংলাদেশে রেকর্ড ২০৬টি পরিবেশবান্ধব কারখানা

বাংলাদেশের একটি পরিবেশবান্ধব কারখানা (ফাইল ফটো)

দিন যতই যাচ্ছে, বাংলাদেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা পরিবেশবান্ধব কারখানা ততই বাড়ছে। এ তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে আরও দুটি কারখানা। এখন বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারাখনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬টিতে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজিএমইএ জানায়, বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার তালিকায় আরও দুটি প্লাটিনাম রেটেড লিড কারখানা যোগ হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ২০৬টি লিড প্রত্যায়িত কারখানার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। নতুন পরিবেশবান্ধব কারাখানগুলোর মধ্যে গাজীপুরের এস এম সোর্সিং ১০৬ স্কোর করেছে, যা ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোর। লিড প্রত্যায়িত দ্বিতীয় কারখানাটি হলো—নাইস কটন লিমিটেড। এটিও গাজীপুরে অবস্থিত। কোম্পানিটি ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

পরিবেশবান্ধব ২০৬টি কারখানার মধ্যে ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড রেটেড কারখানা। এখন বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৫৪টিই বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২১টি লিড প্রত্যায়িত কারখানার মধ্যে ১৯টি বাংলাদেশের।

বিজিএমইএ জানায়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প একসময় কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার মানদণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও সময়ের পরিক্রমায় শিল্পটি আজ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান এবং উৎপাদনের জন্য বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্প বিশ্বব্যাপী ১০ শতাংশ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। তাই, শিল্পটি জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ করছে। বাংলাদেশ সর্বনিম্ন মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ হিসেবে ইতোমধ্যেই শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক রূপকল্পের ক্ষেত্রে এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। সব ধরনের প্রতিকূলতা (বিশেষ করে গত কয়েক বছরে মহামারি, বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি, যা এখন খুচরা বাজার এবং ভোক্তাদের ব্যয়কে প্রভাবিত করছে) মোকাবিলা করে শিল্পটি ২০২২ সালে ৩০টি (১৫টি প্লাটিনাম ও ১৫টি গোল্ড রেটেড) পোশাক কারখানাকে লিড প্রত্যায়িত কারখানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২৪টি পোশাক কারখানা লিড মর্যাদা অর্জন করেছে। এসবের মধ্যে ১৬টি প্লাটিনাম এবং ৮টি গোল্ড রেটেড। বিগত ৫ বছরে ইউএসজিবিসি কর্তৃক ১২৯টি কারখানা লিড গ্রিন ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা হিসেবে প্রত্যায়িত হয়েছে।

উল্লেখ্য, লিড সনদপত্রের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের প্রয়োজন। বাংলাদেশের আরও ৫০০টি কারখানার লিড প্রত্যায়িত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এনএফ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়