ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৯:৪২, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান

আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। 

তিনি বলেছেন, রমজানকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এটি ধর্মীয় বা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি আশরাফ আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা শিল্প ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন  তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী এবং সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ, পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আনোয়ারুল আলম।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি যথাযথ বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য। 

সারা দেশে বিসিকের অব্যবহৃত প্লটগুলোতে শিল্পকারাখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। 

এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি আখ্যায়িত করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, বাজার সম্প্রসারণ, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।  

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ পিপিপি মডেলের ভিত্তিতে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অবকাঠামাসহ অন্যান্য পরিষেবার উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং সারা দেশে বিসিকের শিল্প এলাকার অব্যবহৃত প্লটগুলোতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব করেন। 

তিনি বলেন, এলডিসি-পরবর্তী সময়ে আমাদের রপ্তানি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্প নীতি, শ্রম নীতি, আমদানি-রপ্তানি নীতি এবং পরিবেশ সুরক্ষাবিষয়ক নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নীতি সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য। দেশের সিএমএসএমই খাতের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে এসএমই সংজ্ঞা পুননির্ধারণ করা দরকার, যা কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং নীতি সহায়তাপ্রাপ্তিতে সহযোগিতা করবে। স্থানীয় শিল্পের বিকাশে ‘এসএমই আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, প্রতিবছর বাংলাদেশ পণ্য উৎপাদনে ৬৮.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এ অবস্থায় শিল্প খাতে আমদানিনির্ভরতা কমাতে তৈরি পোশাক, চামড়া, হালকা প্রকৌশলসহ সম্ভাবনাময় অন্যান্য খাতের কাঁচামাল উৎপাদনে নীতি সহায়তা ও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ৩৭.৫৬ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার-বেসরকারি খাতের সমন্বয় আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সেই সাথে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প খাতের উন্নয়ন ও রপ্তানি খাতের বিকাশে ‘সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস’ স্থাপন করতে হবে। 

আশরাফ আহমেদ আরও বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজার প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ইসলামিক এন্টারপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালে এর পরিমাণ হবে ১২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্ভাবানময় এ বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিএসটিআই সনদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি, নীতি, অর্থ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রয়োজন।   

এএএম/এনএফ/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়