ঢাকা     সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৮ ১৪৩১

‘চাপ কমাতে প্রয়োজন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ানো’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪  
‘চাপ কমাতে প্রয়োজন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ানো’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেছেন, এই মুহূর্তে দুটো জিনিস চাপ কমাতে সহযোগিতা করতে পারে—একটি হলো, রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে এবং আরেকটি হচ্ছে, রপ্তানি বাড়াতে হবে। 

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, রপ্তানি বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তারপরও ডলারের ওপর চাপ থাকছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ডলার সঙ্কট কেটে যাবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, চামড়া ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিকে গুরুত্ব দিয়ে এই দুটো খাতেই সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের মতো অন্য খাতকেও একই সুবিধা দিলে আমি বিশ্বাস করি, বহুমুখী রপ্তানি বাড়বে।

গ্যাস সঙ্কট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, এখন যেটা হয়েছে, সেটা সাময়িক। কিছুদিন আগেও এলএনজি কেনা হয়েছে। আর ভবিষ্যতের জন্য ভালো খবর হচ্ছে, অনেক নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভোলাতে আগে আমরা পেয়েছি, এখন শেভরন পেয়েছে, পেট্রোবাংলাও পেয়েছে। আশা করি, সামনে গ্যাসের সঙ্কট কমে যাবে। 

বহুমুখী রপ্তানি ও তৈরী পোশাকের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেক নতুন রপ্তানিপণ্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফুল, ফল, অ্যাগ্রো প্রসেসড প্রোডাক্টগুলো ছোট আকারে হলেও রপ্তানি শুরু হয়েছে। গার্মেন্টসের প্রোডাক্টগুলোর রপ্তানিও প্রথমে ছোট আকারে শুরু হয়েছিল। ফার্নিচার, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারও এখন বাইরে রপ্তানি হচ্ছে। আমরা আগে কল্পনাও করিনি যে, বাংলাদেশ এতকিছু রপ্তানি করতে পারবে। আমাদের রপ্তানি বহুমুখী হয়েছে, কিন্তু ভলিউমটা বাড়ছে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গার্মেন্টসকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, অন্য খাতকেও যদি একই সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে বহুমুখী রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। 

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, দেশের বাজারে কিছু পণ্যের দাম অযৌক্তিভাবে বেড়েছে। সরকারের হস্তক্ষেপে এরইমধ্যে অনেক কিছুর দাম কমেছে। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করা যায়, অচিরেই দ্রব্যমূল্য আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

হাসান/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়