ঢাকা     শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ে ব্যয় ১৬৬ কোটি টাকা

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ে ব্যয় ১৬৬ কোটি টাকা

ফাইল ছবি

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সরকারি সরবরাহ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে ৫০ হাজার  মেট্রিক টন গম আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এই গম আমদানি করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে  ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩.০০ লাখ মেট্রিক টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩.০০ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৬.০০ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম ইতোধ্যে সম্পন্ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাজেটে গম আমদানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গম ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। এতে মোট ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র সংগ্রহ করে। দরপত্রে মেসার্স অ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড,সিঙ্গাপুর প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলার, মেসার্স এমসি ফুড ডিএমসিসি, দুবাই ৩০৭.০৭ মার্কিন ডলার. মেসার্স, গ্রেইনফ্লাওয়ার ডিএমসিসি, দুবাই ৩১২.০০ মার্কিন ডলার এবং মেসার্স, সিরিয়াল ক্রপস ট্রেডিং এলএলসি, দুবাই ৩১৫.০০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে দরপত্র জমা দেয়।

খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত বাজার দর যাচাই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ বন্দর পর্যন্ত প্রতি প্রতি মেট্রিক টন  গমের শুল্কপূর্ব দাম নির্ধারণ করা হয়।  এ ক্ষেত্রে রাশিয়া, রোমানিয়া, ব্লাক সী, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আমেরিকার প্রতি মেট্রিক টন গমের গড় বাজার দর ৩৫৬.৮২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে কোটেশনে অংশগ্রহণকারী ৪টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রহণযোগ্য দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করে। গ্রহণযোগ্য দরদাতা মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্র ৫০,০০০ মেট্রিক টন গমের জন্য উদ্ধৃত দর প্রতি মেট্রিক টন ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলারের চেয়ে (৩৫৬.৮২-৩০৩.১৯) =৫৩.১৯ মার্কিন ডলার কম। অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ, ২০২৩ অভিযানে প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে ১.০০ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি। খাদ্য অধিদপ্তরের এমআইএসঅ্যান্ডএম বিভাগের গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদেন অনুযায়ী গমের মজুত মাত্র ২.১৩ লাখ মেট্রিক টন যা দেশের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। জরুরি পরিসেবা হিসেবে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা এবং সরকারি নিরাপত্তা মজুত গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এর উদ্ধৃত দর বাংলাদেশের বন্দর পর্যন্ত প্রতি মেট্রিক টন ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলার গ্রহণের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করে।

দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে দরপত্রদাতা মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি মেট্রিক টন গম ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলার (প্রতি কেজি গমের দাম ৩৩.৩৫০৯ টাকা)। সে হিসেবে ৫০,০০০ মেট্রিক টন গম আমদানিতে ব্যয় হবে এক কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ  বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা (গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলারের বিনিময় হার ছিল প্রতি মার্কিন ডলার ১১০.০০ টাকা)।

সূত্র জানায়, আমদানিতব্য এই ৫০.০০০ মেট্রিক টন গমের ৬০ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরে এবং বাকি ৪০ শতাংশ গম মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে।

/হাসনাত/এসবি/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়