ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট ঠেকাতে বাজার সমিতির নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২১:৪৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট ঠেকাতে বাজার সমিতির নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান

রমজানে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট মোকাবিলায় বাজার সমিতির নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই’র কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করে এফবিসিসিআই। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেছেন, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা পর্যায়ে পণ্যের মূল্যের ক্ষেত্রে যাতে অস্বাভাবিক পার্থক্য না হয়, সেজন্য মনিটরিং জোরদার করতে হবে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহবুবুল আলম বলেন, ‘রমজান মাস ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও করবেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে উৎসব উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও তেমন হতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী পণ্যের বেশি দাম রাখবেন না। আপনারা রমজান মাসে ন্যায্য লাভ করবেন। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এ বিষয়ে সতর্ক আছেন। তাই, এই দিক সবাইকে সাবধান হতে হবে। এফবিসিসিআই কোনো অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে কথা বলবে না।

রমজানে বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমিও একমত। পুলিশ দিয়ে বাজার মনিটরিং করানো হোক, তা আমি চাই না। বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকি না করলে ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। কাজেই আমি প্রতিটি বাজার কমিটিকে অনুরোধ করব, আপনারা তদারকি কার্যক্রম জোরদার করেন।

এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, অসাধু কোনো ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই নেই। তাদের বিরুদ্ধে সব সময় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এফবিসিসিআই থেকেই এবার বাজার মনিটরিং করা হবে।

এর আগে সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও মালিকরা।

নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে, উল্লেখ করে ভোগ্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন পণ্যের উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। 

আগামী ১০ দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠতে যাচ্ছে উল্লেখ করে, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এর ফলে আসন্ন রমজানে বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট হবে না।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেরাজুল ইসলাম বলেন, খেজুর আমদানিতে উচ্চ কর না থাকলে অনেক কম দামে খেজুর বিক্রি করা যেত। অথচ, যারা কর নির্ধারণ করেন, তাদের কোনো দায় হয় না। দায় হয় সরকারের অথবা ব্যবসায়ীদের।

রমজানে ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, মসলা ইত্যাদির দাম বাড়লে রেস্তোরাঁ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান। এ বিষয়ে এফবিসিসিআই উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বস্ত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

সভায় এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসেন, পরিচালকবৃন্দ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এনএফ/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়