এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ কোম্পানির লেনদেন শুরু বুধবার
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের লেনদেনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হবে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসইতে কোম্পানির ট্রেডিং কোড ‘ASIATICLAB’। আর ডিএসইতে কোম্পানির ট্রেডিং কোড ১৮৪৯৮। সিএসইতে কোম্পানির স্ক্রিপ্ট কোড ১৮০১৩।
কোম্পানিটি ‘ওষুধ ও রসায়ন’ খাতে যুক্ত হবে। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ডিএসই টাওয়ারে (নিকুঞ্জ-২) কোম্পানির আইপিওর শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ৯৫ কোটি টাকার বিপরীতে ৩৯৪ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৭০০ টাকার আবেদন জমা পড়ে, যা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৪.১৬ গুণ বেশি। ফলে প্রতি ১০,০০০ টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ৮৬টি শেয়ার এবং অনিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ১৪৩টি শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিওর আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়। এ আবেদন গ্রহণ ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে।
গত বছরের ১৫ জানুয়ারি ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানির সম্পদের ভ্যালুয়েশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়া স্থগিত করে বিএসইসি। পরবর্তীতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত বছরের ২৮ নভেম্বর বিএসইসির ৮৮৯তম কমিশন সভায় আলোচ্য স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে বিএসইসির ৮৩৭তম কমিশন সভায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। এজন্য গত বছরের ১৬ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। ওই বছরের ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস (প্রান্তসীমা মূল্য) নির্ধারণে বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইআই) কোম্পানির শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রান্তসীমা মূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ বা ২০ টাকা এ দুইয়ের মধ্যে যেটি কম হবে, সে মূল্যে শেয়ার ইস্যু করার শর্ত দিয়েছিল বিএসইসি।
আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহিত অর্থে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
/এনটি/এসবি/