ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহী রাশিয়া

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ১৪ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৭:০০, ১৪ মার্চ ২০২৪
এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহী রাশিয়া

বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি

বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি তার দেশের এই আগ্রহের কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে আমরা একটি অংশীদারত্ব তৈরি করতে চাই। সেখানে কারিগরি সহায়তাসহ অন্য যেকোনও ধরনের সহায়তা দিতে রাশিয়া আগ্রহী।’

এছাড়া, উভয় দেশের পর্যটকরা যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন, সেজন্য ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট শুরুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রতি বছর রাশিয়ার বিপুলসংখ্যক পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে রাশিয়ার যেসব পর্যটক এখন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ভ্রমণ করেন, তারা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হবেন। বাংলাদেশে রাশিয়ার পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে তা এই দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।’

প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করার জন্য কাজ করছি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে রাশিয়ার মতো বন্ধুরাষ্ট্রের উন্নয়ন অংশীদার হতে চাওয়া ও ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

ফারুক খান বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর কাজ চলমান রয়েছে।  ইতোমধ্যেই পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে— যা এ বছরেই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়া, আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরও বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। রাশিয়ার পর্যটকদের আমরা বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। পাশাপাশি, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে রাশিয়া বিনিয়োগ করলে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।’

আসাদ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়