স্থানীয় সরকার-রেলওয়ের পাঁচ প্রকল্পে ব্যয় বাড়লো ২৩৩ কোটি টাকা

স্থানীয় সরকার বিভাগের চার প্রকল্পের ব্যয় ৫৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৮০৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে রেলওয়ের এক প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা। সবমিলিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের ৫ প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ২৩৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯ টাকা।

এ ছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের পূর্ত কাজে এক প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। ১৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ৯ হাজার ৪৭৫ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (১৫ মে) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠক শেষে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

তিনি জানান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ৯ হাজার ৪৭৫ টাকা। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স এবং এসএসএল। প্রকল্পের আওতায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

সচিব জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের রুরাল কানেক্টিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ভেরিয়েশন প্রস্তাব ৪৪ কোটি টাকা অনুমেদনা দেওয়া হয়েছে। এতে চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ১২৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার ৫০৮ টাকা।

প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে- ডিডিসি বাংলাদেশ, জিআইটিইসি-আইজিআইপি জার্মানি, ডেভকন লিমিটেড বাংলাদেশ এবং রিসোর্স প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট লিমিটেড বাংলাদেশ। প্রথমে এসব প্রতিষ্ঠান নিয়োগে ৮৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার ৫০৮ টাকায় চুক্তি হয়।

সভায় ঢাকা ওয়াসার ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-০৩.৩ এর আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১১ কোটি ৭৩ হাজার ১৭৩ টাকা ব্যয় বেড়েছে।

এ ছাড়া ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের ভেরিয়েশন বাবদ ৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ২৫ টাকা ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের আরেক প্যাকেজে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মাহমুদুল হোসাইন খান আরও জানান, কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলের (ইডিসিএফ) অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রনিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের ঋণচুক্তির অব্যবহৃত ঋণ ব্যবহার করে অতিরিক্ত মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মূল চুক্তিমূল্য ৬৫৮ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৬৩ টাকা। ভেরিয়েশন ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা (সিডি-ভ্যাট ছাড়া)। সিডি-ভ্যাট বাবদ খরচ ৩২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ৬০৬ টাকা। সংশোধিত চুক্তিমূল্য এক হাজার ১৬০ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৯ টাকা (সিডি-ভ্যাটসহ)। সুপারিশকৃত দরদাতা যৌথভাবে মেসার্স সুং সিন রোলিং স্টক টেকনোলজি লিমিটেড ও পসকো ইন্টান্যাশনাল।