ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

স্যানিটেশনকর্মীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ১৮ মে ২০২৪   আপডেট: ২২:৩৬, ১৮ মে ২০২৪
স্যানিটেশনকর্মীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন

বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিবেদিত বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সাজেদা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে হারপিক। এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য—স্যানিটেশনকর্মীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে একত্রে কাজ করা। 

শনিবার (১৮ মে) রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসিএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি গুলশান-১ এ অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। 

সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. ফজলুল হক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম, জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ও হারপিকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নুসরাত ইমরোজ তিশা, এশিয়াটিকের অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সামিদা রশিদ আনিকা, গ্রুপ অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ফারহান করিম, রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসির মহাব্যবস্থাপক ভিশাল গুপ্ত, মার্কেটিং ম্যানেজার সাবরিন মারুফ তিন্নি, সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার তাবাশ্বের আহমেদ এবং ম্যানেজার (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স) মো. রাকিব উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে স্যানিটেশন এবং বর্জ্য নিষ্কাশনের দায়িত্বে নিয়জিত কর্মীরা জনস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু, অনেক সময় তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে হিমশিম খান। জীবনধারণের জন্য স্যানিটেশনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তাদের প্রায় প্রতিদিনই করতে হয়। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা স্যানিটেশনকর্মীদের জন্য অবশ্যই পালনীয় বিষয় হলেও প্রায়ই তা উপেক্ষিত হয়। এর ফলে চর্মরোগসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অনেক স্যানিটেশনকর্মী। 

চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার স্যানিটেশনকর্মী এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যবীমা ও স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে আগামী এক বছর স্যানিটেশনকর্মীদের পরিবার বীমা প্রিমিয়াম সহায়তা পাবে এবং তাদের পরিবারকে স্বাস্থ্যবিধিতে দক্ষ করার জন্য হারপিক সচেতনতা সেশন পরিচালনা করবে। দেশের ২৫০টিরও অধিক হাসপাতালে তারা হারপিক স্বাস্থ্যসেবা কার্ড ব্যবহার এ স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ এবং বছরজুড়ে হাইজিন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। 

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট কেয়ার ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে। ১৯৭৮ সাল থেকে হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট-ক্লিনার ক্যাটগরির এক নম্বর ব্র্যান্ড।

হাসান/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়